শিক্ষার আলো ডেস্ক
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সাবেক কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সেলিম তোহার মেয়াদ শেষ হয়েছে গত বছরের ২১ আগস্ট। তারপর থেকে ৬ মাসের বেশি সময় ধরে গুরুত্বপূর্ণ এই পদটি শূন্য রয়েছে।
এদিকে এই পদটি শূন্য থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজেও দেখা দিয়েছে স্থবিরতা। বাধা পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে বড় মেগা প্রকল্পের কাজেও।
প্রকৌশল অফিস সূত্রে, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন আবাসিক হল ও ভবন সংস্কার কাজে ১০টি লোকাল টেন্ডার সম্পন্ন হয়েছে। আর টেন্ডার মূল্যায়ন কমিটির প্রধানের অনুমোদন ছাড়া এসব কাজ শুরু হয় না। আর বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ হলেন এই কমিটির প্রধান।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষের মেয়াদ গেল বছরের আগস্টের ২১ তারিখ শেষ হলে ইবির উপাচার্য পদে গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর ঢাবির অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালামকে নিয়োগ প্রদান করা হয়। তবে এখনো পর্যন্ত কোষাধ্যক্ষ পদে কাউকে নিয়োগ দেয়া হয়নি।
এদিকে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, কোষাধ্যক্ষ পদে নিয়োগ পেতে ইতিমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষকের নাম উঠে এসেছে তাদের মধ্যে ইবির অর্থনীতি বিভাগের সিনিয়র অধ্যাপক আলমগীর হোসেন ভুইঁয়া, ইবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. কাজী আখতার হোসেনসহ বাহিরের বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কিছু শিক্ষকদের নাম শোনা যাচ্ছে।
যে যার মতো করে স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ের প্রভাবশালী নেতা থেকে শুরু করে মন্ত্রণালয় পর্যন্ত তদবির চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে ইবির কোষাধ্যক্ষ নিয়োগ প্রদানের দাবি জানান অনেকে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) মু. আতাউর রহমান জানান, কোষাধ্যক্ষ না থাকার কারণে তার নির্ধারিত যে দায়িত্বগুলো ছিল সে সমস্ত কাজগুলো উপাচার্য করছেন।
Discussion about this post