শিক্ষার আলো ডেস্ক
ঔষধি গুণসম্পন্ন সজিনা পাতা, আনারসের উচ্ছিষ্টাংশ, তেলাকুচা পাতা ও লেমন ঘাস ব্যবহার করে একটি মিশ্রণ উদ্ভাবন করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) পশুপুষ্টি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আল-মামুন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের পশুপালন অনুষদের সম্মেলন কক্ষে পশুপুষ্টি বিভাগ আয়োজিত ‘দুগ্ধজাত গাভীর প্রচলিত খাদ্যের কার্যকারিতা বৃদ্ধি, নিরাপদ ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ দুধ উৎপাদনে ঔষধি ঘাসের প্রভাব’ শীর্ষক প্রকল্পের সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব তথ্য জানান।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনের সময় তিনি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে গবেষণায় দেশীয় ১১টি ঔষধি ঘাস নির্বাচন করা হয়। খামারিদের জন্য ঘাসের সহজলভ্যতা ও খরচ বিশ্লেষণ বিবেচনা করে জৈব ও খনিজ পদার্থের পরিমাণের ওপর ভিত্তি করে সেরা চারটি ঘাস নির্বাচন করা হয়। নির্বাচিত ঘাসগুলোর সমন্বয়ে ওই মিশ্রণটি তৈরি করা হয়। মিশ্রণটি খামারিরা দুগ্ধজাত গাভীর খাদ্যের সঙ্গে ব্যবহার করলে অধিক পুষ্টি উপাদানসমৃদ্ধ নিরাপদ দুধ উৎপাদন করতে সক্ষম হবে; যা পরোক্ষভাবে মানবদেহে অ্যান্টি-মাইক্রোবায়াল রেসিসট্যান্টের ভয়াবহতা কমাবে।
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের পশুপুষ্টি বিভাগের প্রধান ড. মোহাম্মদ মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন ভিসি অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পশুপালন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. একে ফজলুল হক ভূঁইয়া, বাউরেস পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আবু হাদী নূর আলী খান এবং কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের প্রাণিসম্পদ বিশেষজ্ঞ ড. মো. মেহেদি হোসেন।
Discussion about this post