নিজস্ব প্রতিবেদক
দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সভায় বসবেন উপাচার্যরা। আগামীকাল বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সংগঠন বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের (এইউবি) এ সভা অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে সব বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সম্ভাব্য ভর্তি পরীক্ষার তারিখ এবং এ সংক্রান্ত বিষয়াদি উপস্থাপন করা হবে। এরপর আলোচনার মাধ্যমে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
সূত্র জানায়, বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের সভায় সাধারণত কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা কবে অনুষ্ঠিত হবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর আগে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের সম্ভাব্য তারিখ সভায় উপস্থাপন করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল কিংবা ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত কমিটির সভায় এ তারিখের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরিষদের সভায় দেশের সবগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা নিজ নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার সম্ভাব্য তারিখ জানাবেন।
জানা গেছে, এবার শীর্ষস্থানীয় কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় বাদে বাকিরা বড় তিনটি গুচ্ছে ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সে কারণে ভর্তি পরীক্ষা অল্প সময়ের মধ্যে শেষ হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। এছাড়া করোনাভাইরাসের কারণে বিশেষ পরিস্থিতির সৃষ্টি হওয়ায় স্বাস্থ্যবিধি কীভাবে নিশ্চিত হবে সে বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেবেন উপাচার্যরা।
সভার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের সভাপতি এবং চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) উপাচার্য ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম আজ মঙ্গলবার বলেন, ‘পরিষদের সভার এজেন্ডায় ভর্তি পরীক্ষার বিষয়টি রয়েছে। এ সংক্রান্ত আলোচনা হবে। ৪৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এছাড়া করোনার কারণে অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনেই পরীক্ষা নেওয়া হবে। এছাড়া হল খুললে একরকম, আর না খুললে অন্যরকম ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজন হবে ভর্তি পরীক্ষায়।’
প্রসঙ্গত, চলতি বছর ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এবং বুয়েট এবার স্বতন্ত্রভাবে ভর্তি পরীক্ষা নেবে। তবে ২০টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় একটি গুচ্ছে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। পাশাপাশি রুয়েট, চুয়েট ও কুয়েট একটি গুচ্ছে এবং কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আরেকটি গুচ্ছে ভর্তি পরীক্ষা হবে। এর বাইরে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ভর্তি পরীক্ষা নিচ্ছে।
Discussion about this post