নিউজ ডেস্ক
রাতের আঁধারে মেসে ঢুকে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) শিক্ষার্থীদের মারধরের প্রতিবাদে বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়ক অবরোধ করা হয়েছে। এসময় একটি বাসে আগুন দিয়েছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
এর আগে সকাল ৭টা থেকে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মূলফটকের সামনের এ মহাসড়কে ইট ও কাঠ দিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে শিক্ষার্থীরা। এ সময় একটি যাত্রীবাহী বাসেও ভাঙচুর চালানো হয়। হামলার ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেছেন তারা।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা জানান, মঙ্গলবার রাত দেড়টার দিকে বরিশাল নগরের রূপাতলী হাউজিং এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ম্যাচে হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা।
এ খবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে আশপাশের ম্যাচে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সহপাঠীদের উদ্ধারে এগিয়ে আসেন। এ সময় তারাও হামলার শিকার হন। হামলায় আহত ১১ জনকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা সকাল ৭টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়ক অবরোধ করে। এ সময় একটি বাস ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। সড়কে ইট ও কাঠ ফেলে সড়ক অবরোধ করে রাখা হয়। এ ঘটনায় দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। হামলাকারীদের গ্রেফতার ও বিচার না হওয়া পর্যন্ত সড়ক অবরোধ অব্যাহত রাখার কথা জানিয়েছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী তৌফিকুল সজল ও ফারজানা আক্তার মেমি নিজ বাড়ি খুলনায় যাওয়ার জন্য রূপাতলীর বিআরটিসি কাউন্টারে যায়। সেখানে কাউন্টার স্টাফ রফিক তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে কথা কাটাকাটির জের ধরে সজল ও মেমিকে মারধর ও লাঞ্ছিত করে।
এর প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে এবং রফিককে গ্রেফতারের দাবি জানান। পুলিশ রফিককে ১ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করে, এর পর রাতেই শিক্ষার্থীদের ওপর এ হামলার ঘটনা ঘটে।
Discussion about this post