শিক্ষার আলো ডেস্ক
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক বলেছেন- অনলাইনে ক্লাস চালু থাকায় কোভিড-১৯ এর প্রার্দুভাবেও তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সিলেট সরকারি অগ্রগামী বালিকা উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজের অডিটোরিয়ামে জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান ও শিক্ষা অফিসারদের সঙ্গে ‘করোনা পরবর্তী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালুকরণ’ বিষয়ে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক বলেন, করোনায় অনলাইনে ক্লাস চালু ছিল। আমাদের শিক্ষকরা নিয়মিত ক্লাস চালিয়েছেন। ফলে খুব সামান্য ক্ষতি হয়েছে। শিক্ষাক্ষেত্রে যেটুকু ক্ষতি হয়েছে, তা ২০২১ সালে কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হব।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কবে খোলা হবে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সকল শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের স্বাস্থ্যসুরক্ষা নিশ্চিত হওয়ার পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হবে। যত দ্রুত সম্ভব শিক্ষার্থীদের স্কুল-কলেজে ফেরানোর ব্যবস্থা করতে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
ড. গোলাম ফারুক বলেন, সারাদেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করা হচ্ছে। সার্বিক বিষয়গুলো বিবেচনা করে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করা হবে। ইতোমধ্যে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক ও অভিভাবকসহ সবার পরামর্শক্রমে কিভাবে বিদ্যালয়গুলো চালু করা যায় তা গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, এই বৈশ্বিক মহামারিকালে আমরা অনেক কিছু অর্জন করেছি। শিক্ষাক্ষেত্রে দেশ অনেক এগিয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর শ্রেণিকক্ষ পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
মহাপরিচালক বলেন, আমাদের শিক্ষকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে টেলিভিশনে নিয়মিত পাঠদান চালিয়ে গেছেন। শিক্ষার্থীদের নিয়মিত পাঠদানের মাধ্যমে শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের মেধাবী হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছেন।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিলেট অঞ্চলের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মো. নুর-এ-আলমের সভাপতিত্বে ও সিলেট সরকারি অগ্রগামী বালিকা উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজের সহকারী শিক্ষক কোহেলী রায়ের সঞ্চালনায় সভায় স্বাগত বক্তৃতা করেন মাউশির সিলেট অঞ্চলের উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর কবির আহমদ।
মতবিনিময় সভায় আরও বক্তৃতা করেন সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ শামীমা আক্তার চৌধুরী, সিলেট মদন মোহন কলেজের অধ্যক্ষ সর্বানী অর্জুন প্রমুখ। এছাড়া সিলেট জেলার সকল শিক্ষা কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক ও অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন। পরে মাউশি মহাপরিচালক শ্রেণিকক্ষ পরিদর্শন করেন।
Discussion about this post