নিজস্ব প্রতিবেদক
পলিটেকনিকের ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের অনার্স-মাস্টার্স পড়ার সুযোগ দিতে উদ্যোগ নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার আকাঙ্ক্ষার বিষয়টি বিবেচনা করেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্যদের কাছে চিঠিও দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা যে প্রতিষ্ঠানেই পড়ুক তার যদি উচ্চশিক্ষা নেওয়ার মেধা-যোগ্যতা থাকে, তাহলে সে সুযোগ যেন তারা পায়। সেই কারণে আমরা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ভর্তিতে বয়সের বাধা তুলে দিয়েছি। আমি সমস্ত বিশ্ববিদ্যালগুলোকে দিঠি দিয়েছি, তারা যেনও পলিটেকনিক থেকে পাস করা শিক্ষার্থীদের ভর্তি হওয়ার সুযোগ দেয়। ভর্তি পরীক্ষা দিয়েই ভর্তি হবে। যদি কোয়ালিফাই করে তাহলে নেবে না কেন?’
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তির যোগ্যতা এইচএসসি। আর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে ভর্তি হতেও এইচএসসি ও সমমান উত্তীর্ণ হতে হয়। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির ক্ষেত্রে এইচএসসি দুই বছর পেরিয়ে গেলে কোনও শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পান না। আর এ কারণে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স পাস করা শিক্ষার্থীরা উচ্চশিক্ষার সুযোগ চাইলেও তা পান না। বঞ্চিত শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করেই শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বিশ্ববিদ্যালয় অনার্স ভর্তির বিষয়ে সুযোগ করে দিতে উদ্যোগ নেন।
পরিস্থিতি বিবেচনা করে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্যদের চিঠি দেন এসব শিক্ষার্থীদের ভর্তির ব্যবস্থা নিতে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এখন পর্যন্ত কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য চিঠি দেওয়ার বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি আরও বলেন, ‘পলিটেকনিকে হোক বিদেশে হোক কোথাও তিন বছর চার বছর পড়লো। তারপর যদি সে সিদ্ধান্ত নেয় অনার্স করবে। এ বিষয়ে যদি তার মেধা-যোগ্যতা থাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার জন্য সে ভর্তি পরীক্ষা দিতে যায় তাহলে বলবে— উচ্চমাধ্যমিক পাস করার দুই বছর পর সে ভর্তি হতে পারবে না। এটা যৌক্তিক মনে করেন? যৌক্তিক নয়। আমরা সেই জায়গাতে যেতে চাই। আমি একা চাইলেও তো সব হবে না। এক লাফে তো সব পরিবর্তন করতে পারবো না। আমরা আমাদের মত চেষ্টা করে যাচ্ছি।’
Discussion about this post