শিক্ষার আলো ডেস্ক
মেডিক্যাল ও ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে ‘জিরো টলারেন্স নীতি’ অনুসরণ এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সবার সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে ‘পলিউটার্স পে প্রিন্সিপাল’ গ্রহণসহ ১০ দফা সুপারিশ ওয়েস্টসেফ আন্তর্জাতিক সম্মেলনে তুলে ধরেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন-ইউজিসি।
রবিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ইউজিসি’র সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কার্যকর বর্জ্য ব্যবস্থপনার জন্য সর্বস্তরে বর্জ্য হ্রাস, পুনর্ব্যবহার, পুনরুদ্ধার এবং পুনউৎপাদনের (৫ আর পলিস- রিডিউস, রিইউজ, রিকভারি, রিসাইকেল ও রিম্যানুফ্যাকচারিং) চর্চা এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ে নীতিমালা প্রণয়নের সুপারিশ করা হয়েছে।
‘উন্নয়নশীল দেশগুলোয় পৌর ও মানব বর্জ্য ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলন ‘ওয়েস্টসেফ-২০২১’ এর সমাপনী দিন রবিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) অংশীজনের মতামত ও গবেষণার ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে সম্মেলনের সভাপতি ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর ১০ দফা সুপারিশ তুলে ধরেন।
অধ্যাপক আলমগীর বলেন, ‘স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা (এলডিসি) থেকে বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশে (ডিসি) উত্তরণে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ে টাইম ফ্রেম নির্দিষ্ট করে এখন থেকে কাজ শুরু করতে হবে। রোহিঙ্গাদের জন্য অস্থায়ী আবাসন ভাসান চরে স্বাস্থ্যসম্মত ও টেকসই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা শুরুতেই নিশ্চিত করতে হবে। উচ্চশিক্ষা পর্যায়ে পৌর ও মানব বর্জ্য বিষয়ে গবেষণার ব্যাপ্তি বৃদ্ধির উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। ২০৩০ সালে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনে স্থানীয় সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগে বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সবার জন্য স্যানিটেশন নিশ্চিত করা এবং এ লক্ষ্যে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। সার্কুলার ইকোনমির ওপর ভিত্তি করে ভবিষ্যৎ পৌর ও মানব বর্জ্য এবং ওয়েস্ট ওয়াটারের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ এবং সরকারি পর্যায়ে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য নেওয়া উদ্যোগগুলোর সুষ্ঠু বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট অংশীজনের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।’
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, বিশ্বব্যাপী বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কৌশল, পরিবেশ ও আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপট, কারিগরি বিষয়ে অভিজ্ঞতা এবং প্রযুক্তিগত জ্ঞান বিনিময়ের মাধ্যমে নতুন নতুন কৌশল উদ্ভাবনের লক্ষ্যে সপ্তমবারের মতো এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। ওয়েস্টসেফ-২০২১ এর আয়োজক কুয়েট, জার্মানির ওয়েমার বা’হস বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইতালির প্যাডোভা বিশ্ববিদ্যালয়।
অনুষ্ঠানে জার্মানির ওয়েমার বা’হস বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক একার্ড ক্রাফ্ট, ইতালির প্যাডোভা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রাফায়েলো কসু, অধ্যাপক মারিয়া ক্রিস্টিনা লাভাগনলো, ভারতের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সাধন কুমার ঘোষ, নেপালের ড. নওরাজ খতিওয়াদা, বাংলাদেশের অধ্যাপক কিএইচস বারী, অধ্যাপক খন্দকার মাহবুব হাসান, অধ্যাপক রাফিজুল ইসলাম এবং ড. খালিকুজ্জামন বক্তব্য রাখেন।
Discussion about this post