নিজস্ব প্রতিবেদক
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির জন্য তথ্য প্রদানের সময় বাড়ানো হয়েছে। সার্ভারে তথ্য প্রদানে নানা জটিলতা তৈরি হাওয়ায় নতুন করে আরও ১০ দিন বাড়ানো হলো।
বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) প্রাথমিক শিক্ষার জন্য উপবৃত্তি প্রদান প্রকল্প থেকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। নির্দেশনা দেশের সব বিভাগীয় শিক্ষা অফিস, জেলা অফিসে পাঠানো হয়েছে।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের ৪র্থ কিস্তির (এপ্রিল-জুন/ ২০২০) উপবৃত্তির অর্থ বিতরণের সময় ১ম ধাপে সুবিধাভোগীদের তথ্য ও ২য় ধাপে চাহিদাপত্র এন্ট্রি করা হয়েছিল। দুইটি পর্যায়ে কাজ করতে বেশি সময় ক্ষেপণ হয়েছে। এজন্য এখন হতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে একবারেই চাহিদাসহ সুবিধাভোগীদের তথ্য এন্ট্রি করতে হবে।
এ বিষয়ে কোনো সমস্যা বা অস্পষ্টতা থাকলে ডাটা এন্ট্রির নির্ধারিত সময়ের পূর্বেই প্রধান শিক্ষককে জেলা মনিটরিং কর্মকর্তা বা ‘নগদে’র সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা কিংবা প্রকল্প কার্যালয়ে যোগাযোগ করতে সংশ্লিষ্টদের বলা হয়েছে।
প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, এর আগে সর্বশেষ ২৫ জানুয়ারি তৃতীয় দফা তথ্য প্রদানের শেষ দিন ছিল। এরপরও যারা বাকি ছিল তাদেরকেও উপবৃত্তির আওতায় নিয়ে আসার জন্য এ সুযোগ দেয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সার্ভারে শতভাগ তথ্য আপলোড করা না হলেও কাউকে উপবৃত্তির টাকা দেয়ার সুযোগ নেই।
ইউসুফ আলী জানান, চলতি মাসের ১৫ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত নতুন করে তথ্য আপলোডের সুযোগ দেয়া হবে স্কুল শিক্ষকদের। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শিক্ষার্থীদের তথ্য আপলোড করা হলে পরবর্তীতে উপবৃত্তির টাকা পাবে।
এদিকে গত বছর ১৩ ডিসেম্বর উপবৃত্তি বিতরণের দশমিক ৭৫ পয়সা সার্ভিস চার্জ ধরে ‘নগদ’-এর সঙ্গে চুক্তি করে প্রাথমিক উপবৃত্তি প্রকল্প। চুক্তি অনুযায়ী, জিটুপি (সরকার টু পাবলিক) পদ্ধতিতে উপবৃত্তির টাকা বিতরণ করবে নগদ। উপবৃত্তির জন্য শিক্ষার্থীর জন্ম নিবন্ধন এবং মায়ের জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে ডাটা এন্ট্রি বাধ্যতামূলক করা হয়। জন্ম নিবন্ধন বাধ্য করার কারণে শুরু থেকেই ডাটা এন্ট্রির কাজে নানা জটিলতায় পড়ে শিক্ষক-অভিভাবকরা।
পাশাপাশি নগদের সার্ভারে সমস্যা, মফস্বল এলাকায় ইন্টারনেটের ধীরগতি, মায়ের জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকা এবং প্রদত্ত ঠিকানায় গিয়ে শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের খুঁজে না পাওয়ায় ডাটা এন্ট্রির কাজ কচ্ছপ গতিতে এগুচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
Discussion about this post