নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন বলেছেন, ‘পিএসসি শুধু বিসিএসই আয়োজন করে না, ক্যাডার নন-ক্যাডার প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরির সুপারিশকারী কর্তৃপক্ষও। এসব চাকরির পদোন্নতির বিষয় দেখতে হয়। কখনো এসব চাকরিতে শাস্তির বিষয় আসলে সেখানে পিএসসিকে মতামত দিতে হয়।’ একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।
বিসিএসটা দৃশ্যমান অর্থাৎ দেখা যাচ্ছে উল্লেখ করে পিএসসি চেয়ারম্যান বলেন, বাকি কাজগুলো অদৃশ্যমান। কিন্তু এ কাজের সংখ্যা অনেক। দুই হাজার ১৫৫ জন সহকারী শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে। এটাও বিসিএসের সমান।’ এখানেও লিখিত পরীক্ষা, ভাইভা আছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
সোহরাব হোসাইন বলেন, কভিড পরিস্থিতির মধ্যেই পরীক্ষা হয়েছে। পিএসসিকে শুধু দায় দিলেই হবে না, বাস্তবতাও দেখতে হবে। আমাদের সামনে যে জট রয়েছে, তা শেষ করতে পারলে প্রতি বছর একটা বিসিএস আয়োজন ও শেষ করতে পারব আমরা। চলমান চারটি বিসিএসের মধ্যে তিনটি চলতি বছরই শেষ করা সম্ভব হতে পারে।’
পিএসসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘বিসিএস উত্তীর্ণদের প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরি দেওয়া দেশে একটা বড় ঘটনা। এতে সরকার কোয়ালিটি জনবল পাচ্ছে। বেকাররা চাকরি পাচ্ছেন। কোনো দপ্তরে পোস্ট খালি হলে সঙ্গে সঙ্গেই জনবল নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা যায় না। বিজ্ঞাপন দেওয়া থেকে শুরু করে নিয়োগ পর্যন্ত পুরো প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে। এতে দীর্ঘ সময় লাগে।
এ পদ্ধতিতে একটা পদ খালি হলেও সেখানে একজনকে নিয়োগের সুপারিশ করা যায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, একটা বিসিএস শেষ করে নতুন আরেকটি শুরু করতে গেলে পুরনো বিসিএসটা আর টানা যায় না। অর্থাৎ আগের বিসিএস পুরোপুরি শেষ না করে নতুন বিসিএসে হাত দেওয়া যায় না। বিসিএস উত্তীর্ণ সবার চাকরি হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করলে বিসিএস আরও দীর্ঘায়িত হবে বলে জানান তিনি।
Discussion about this post