নিজস্ব প্রতিবেদক
দেশে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি বিবেচনায় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারী ও ছাত্র-ছাত্রীদের বিশেষ অনুদান প্রদানের আবেদনের সময়সীমা আরেক দফায় বাড়ানো হয়েছে। দ্বিতীয় দফায় এই সময়সীমা বাড়িয়ে আগামী ১৫ মার্চ পর্যন্ত বাড়িয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এই সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্টরা অনলাইনের মাধ্যমে অনুদানের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
রবিবার (৭ মার্চ) বিকেলে মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাড়েগর বাজেট শাখা থেকে এক স্মারকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
স্কুল (মাধ্যমিক), কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষক-কর্মচারী ও ছাত্র-ছাত্রীরা এ অনুদানের জন্য আবেদন করতে পারবেন।এর আগে দুপুরে মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারী ও ছাত্র-ছাত্রীদের অনুদান প্রদানের সংশোধিত নীতিমালা-২০২০ অনুযায়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারী, ছাত্র-ছাত্রীদের অনলাইনে (www.shed.gov.bd) আবেদন আহবান করা হয়েছে।
“তবে আবেদন যাচাই-বাছাই করে সীমিত সংখ্যক ব্যাক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে অনুদান দেয়া হবে। এ বিষয়ে কোন ধরনের গুজবে কান না দেয়ার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়েছে।”
এর আগে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি করোনাভাইরাস মহামারীতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে এ অনুদানের জন্য একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল। তবে সেখানে টাকার পরিমাণ উল্লেখ ছিলনা। তাছাড়া নীতিমালা ও শর্ত অনুসারে সবাই আবেদনের যোগ্যও না।
কিন্তু সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে গুজব ছড়ানো হয়েছে সবাইকে অনুদান দেওয়া হবে ১০ হাজার টাকা করে। ফেসবুক এবং ইউটিউবে এমন ভুয়া তথ্য প্রচার করেছেন একটি সংঘবদ্ধ চক্র। আর তাদের এই গুজবে বিশ্বাস করে শনিবার (৬ মার্চ) দেশের বিভিন্ন স্কুল-কলেজে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ঢল নেমেছিল। ফটোকপি ও অনলাইন সার্ভিসের দোকানগুলোতেও ছিল উপচে পড়া ভিড়।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত একটি সর্তকতামূলক বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলা হয়, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে সরকারের দেয়া বিশেষ অনুদান প্রদানের নামে অনলাইনে শিক্ষক-কর্মচারী ও ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে অসৎ উদ্দেশ্যে প্রতারক চক্র ভিন্ন ভিন্ন মোবাইল ফোন থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র, বিকাশ নম্বর ও গোপন পিন ইত্যাদি চাচ্ছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিচয় দিয়ে ফোনগুলো করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
এতে আরও বলা হয়েছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয় হতে বিশেষ এ অনুদানের বিষয়ে ইতোপূর্বে কাউকে ফোন দেয়া হয়নি এবং জাতীয় পরিচয়পত্র, বিকাশ নম্বর ও গোপন পিন সংক্রান্ত কোনো তথ্যও চাওয়া হয়নি। এ বিষয়ে প্রতারক চক্র হতে সতর্ক থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুদান সংক্রান্ত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারী, ছাত্র-ছাত্রীদের অনলাইনে (www.shed.gov.bd) আবেদন আহবান করতে হবে। পরে সেই সময়সীমা এক দফায় বাড়িয়ে রবিবার (৭ মার্চ) পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল। এদিকে, আজ ছিল আবেদনের শেষ দিন। তবে এদিন কর্তৃপক্ষ আবেদনের সময় আরেক দফায় বাড়িয়ে আগামী ১৫ মার্চ পর্যন্ত করেছে।
Discussion about this post