নিজস্ব প্রতিবেদক
যথাযথ মর্যাদায় রবিবার চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) পালিত হয়েছে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ। এ উপলক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলমের নেতৃত্বে সকালে একটি র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে স্বাধীনতা চত্ত্বর সংলগ্ন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়।
এরপর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রশাসনিক ভবনের কাউন্সিল কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম।
চুয়েটে জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটির সভাপতি ও পুরকৌশল অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মো. রবিউল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডীন ও ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম, স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মো. মইনুল ইসলাম, যন্ত্রকৌশল অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দীন আহম্মদ, রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. ফারুক-উজ-জামান চৌধুরী ও মুজিব বর্ষ বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. রনজিৎ কুমার সূত্রধর।
অন্যান্যদের মধ্যে এতে আরো বক্তব্য রাখেন বিভাগীয় প্রধানগণের পক্ষে পুরকৌশল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. সুদীপ কুমার পাল, প্রভোস্টগণের পক্ষে শামসেন নাহার খান হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সামসুল আরেফিন, চুয়েট শিক্ষক সমিতির সহ-সভাপতি জনাব শ্যামল আচার্য, অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জনাব আমিন মোহাম্মদ মুসা, স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জনাব মো. জামাল উদ্দীন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এটিএম শাহজাহান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেল, “ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ শুধুমাত্র বাঙালির মুক্তির সনদ নয়, এটি বিশ্বের যে কোনো নিপীড়িত মানুষের মুক্তির কথা বলে। এই ভাষণে বঙ্গন্ধুর সুদূরপ্রসারী রাজনৈতিক প্রজ্ঞার প্রতিফলন ঘটেছে। বঙ্গবন্ধু একটি বৈষম্যহীন ও ক্ষুধামুক্ত বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন এবং ৭ই মার্চের চেতনা তরুণ প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে।”
এদিকে চুয়েট বঙ্গবন্ধু পরিষদের উদ্যোগে সকালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পন করা হয়। পরে চুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম মহোদয় এবং বঙ্গবন্ধু পরিষদের আহবায়ক অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দিন আহম্মদের নেতৃত্বে পরিষদের নেতৃবৃন্দকে সাথে নিয়ে একটি র্যালির আয়োজন করা হয়।
Discussion about this post