নিজস্ব প্রতিবেদক
শিক্ষার্থীরা এবার ভর্তি পরীক্ষার পর গুচ্ছভুক্ত কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পছন্দক্রম দিতে পারবেন । যদিও গতবছর ভর্তি ফরম পূরণের সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের পছন্দক্রম দেয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন ভর্তিচ্ছুরা। তবে এবার ভর্তি পরীক্ষার পর সেই সুযোগ দেয়া হবে।
সম্প্রতি কৃষিগুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে এসব কথা জানান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরকৃবি) উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. গিয়াস উদ্দীন মিয়া।
তিনি বলেন, এবার কৃষিগুচ্ছের ভর্তির ক্ষেত্রে সামান্য কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। গতবছর শিক্ষার্থীরা আবেদনের সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের পছন্দক্রম দিতে পারলেও এবার ভর্তি পরীক্ষার পর সেটি দিতে পারবেন। ভর্তি পরীক্ষায় যারা উত্তীর্ণ হবেন তাদের কাছে আমরা জানতে চাইব যে, কে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে চায়। এর পর মেধাক্রম অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির অনুমতি দেয়া হবে।
প্রফেসর ড. মো. গিয়াস উদ্দীন মিয়া বলেন, গুচ্ছভুক্ত কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আসন সংখ্যার ১০ গুণ শিক্ষার্থীকে ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ দেয়া হবে। আমরা চাইলেও সব শিক্ষার্থীকে ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ দিতে পারব না। আমাদের সেই সক্ষমতা নেই। আগামী ৪ এপ্রিল কৃষি গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর একটি বৈঠক রয়েছে। বৈঠকে সব চূড়ান্ত করা হবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা এবারও আবেদন ফি এক হাজার টাকা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে যারা আবেদন করার পর ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন না তাদের ৭০০ টাকা ফেরত দেয়া হবে।
প্রসঙ্গত, গত ২ মার্চ বশেমুরকৃবির সিন্ডিকেট সভা মিলনায়তনে আগামী ৩১ জুলাই কৃষিগুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। আবেদনের ন্যূনতম যোগ্যতা এসএসসি ও এইচএসসিতে প্রাপ্ত জিপিএ (চতুর্থ বিষয় ছাড়া) জিপিএ-৮ রাখা হয়েছে। তবে উভয় পরীক্ষায় পৃথকভাবে জিপিএ ৩.৫ থাকতে হবে। পরীক্ষার সময় বেলা ১১ থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এমসিকিউ পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হবে।
Discussion about this post