নিজস্ব প্রতিবেদক
হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬৬ সালে ছয় দফা ঘোষণা করেন। এই ছয় দফা ছিল এদেশের জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তির দলিল’ বলে মন্তব্য করেন সমাজবিজ্ঞানী, একুশে পদকপ্রাপ্ত শিক্ষাবিদ, প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. অনুপম সেন।
প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির অর্থনীতি বিভাগে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ‘বঙ্গবন্ধুর অর্থনৈতিক দর্শন’ শীর্ষক ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।
বিভাগের চেয়ারম্যান ফারজানা ইয়াসমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ওয়েবিনারে ড. অনুপম সেন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ছয় দফা ঘোষণা না করলে বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রশ্নই আসতো না। আজকের বাংলাদেশের যে উন্নয়ন তা কোনোদিন সম্ভব হতো না। ছয় দফার ঘোষণা বঙ্গবন্ধু প্রথম দেন লাহোরে, তারপর চট্টগ্রামের লালদিঘি ময়দানে। এদেশের জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তি না থাকায়, তারা পশ্চিম পাকিস্তান কর্তৃক ভয়ানকভাবে শোষিত হওয়ায় ছয় দফার পথ ধরে সূচিত হয় ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ, অর্জিত হয় স্বাধীনতা।’
এসময় তিনি বলেন, শত শত বছর বাঙালি পরাধীন ছিল। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান স্বাধীন হলেও এদেশের জনগণ স্বাধীনতা পায়নি। ১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ পর্যন্ত তারা সুযোগ-সুবিধা বঞ্চিত ছিল। তাদের অর্থনৈতিক মুক্তি ছিল না। বাজেটের সিংহভাগ ব্যয় হতো পশ্চিম পাকিস্তানে।
ওয়েবিনারে অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. আবুল হোসাইন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের মানুষের রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করেন। শূন্য কোষাগার ও শূন্য অবকাঠামো নিয়ে স্বাধীনতার মাত্র তিন বছরের মধ্যে তিনি ৪০টি দেশ ও অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করেন এবং বিভিন্ন চুক্তি করেন। তিনি ১৯৭৩ সালে ১ম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা হাতে নেন। বঙ্গবন্ধুর মূল উদ্দেশ্য ছিল বৈষম্যহীন সমাজ, যার জন্য সমাজতন্ত্রকে সংবিধানের চার স্তম্ভের একটি স্তম্ভ করেন।
ওয়েবিনারে প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।
Discussion about this post