শিক্ষার আলো ডেস্ক
২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা আগামী ২ এপ্রিল দেশের সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজে অনুষ্ঠিত হবে। ওইদিন সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত এক ঘণ্টার এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে। এবার ১০ হাজার ৬৬৭টি আসনে লড়ছেন ১ লাখ ২২ হাজার ৮৭৪ জন ছাত্রছাত্রী।
করোনার মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই সারা দেশে ১৯টি কেন্দ্রে এবং ১ হাজার ৭৬২টি হলে নেওয়া হচ্ছে এই পরীক্ষা। রাজধানী ঢাকায় ৭৩১টি হলে ৪৭ হাজার শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেবেন।
পূর্বের চারটির মতো এবারও সুষ্ঠু ও নিখুঁতভাবে এমবিবিএস পরীক্ষা সম্পন্ন করতে কাজ করছে ওভার সাইট কমিটি। এই কমিটির প্রধান হলেন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন।
সোমবার (২২ মার্চ) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে তার সভাপতিত্বে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, করোনার সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী থাকায় কঠোর নিরাপত্তা ও শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করেই এমবিবিএস পৃষ্ঠা পরীক্ষা নেওয়া হবে। এছাড়া আগামী ৩০ এপ্রিল ডেন্টালে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
দেশে বর্তমানে ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজে আসনসংখ্যা ৪ হাজার ৩৫০টি। আর ৭০টি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে আরো ৬ হাজার ২৮৭ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবেন।
রাজধানী ঢাকার পরীক্ষাকেন্দ্রগুলোতে সুষ্ঠুভাবে এমবিবিএস পরীক্ষা সম্পন্ন করতে সহযোগিতা করবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ, মুগদা মেডিকেল কলেজ ও ডেন্টাল কলেজ।
শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছেন। পরীক্ষা না হলে অনেক শিক্ষার্থী বঞ্চিত হবেন— এ কারণে তাদের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে এবার এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। ওভার সাইট কমিটির বৈঠকে কীভাবে সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা নেওয়া যায় সে ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
পরীক্ষার হলে প্রবেশ, পরীক্ষাকেন্দ্র সবকিছুতেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরিকল্পনা করা হয়েছে। সোমবারের বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন করোনা মোকাবিলায় গঠিত জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লাহ, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস (এনআইএনএস) হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. কাজী দীন মোহাম্মদ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রো-ভিসি অধ্যাপক ডা. শরফুদ্দিন আহমেদ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ডা. আমির মোরশেদ খসরু ও পরিচালক (মেডিকেল শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. আহসান হাবিব, বিএমএর মহাসচিব ডা. এহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) মহাসচিব ডা. এম এ আজিজ, আওয়ামী লীগের সাবেক স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. বদিউজ্জামান ভূঁইয়া ডাবলুসহ মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের শীর্ষ কর্মকর্তা ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বরা।
Discussion about this post