নিজস্ব প্রতিবেদক
করোনায় সংক্রমণ ও মৃত্যুর হারও বৃদ্ধি পাওয়ায় আগামী সপ্তাহ থেকে আবার কঠোর লকডাউনের কথা ভাবছে সরকার। এতে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনাও গভীর খাদে পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। চলতি বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীর কী হবে, তা নিয়েও গভীর অনিশ্চিতয়তা তৈরি হয়েছে। পরীক্ষা কবে হবে বা আদৌ হবে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্নও সবার।
যদিও শিক্ষা মন্ত্রণালয় আগেই জানিয়েছে, এ দুই পরীক্ষা আয়োজনের সব প্রস্তুতি রয়েছে তাদের। অটোপাস দেওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললে এসএসসির জন্য ৬০ দিন ও এইচএসসির ৮৪ দিন ক্লাসে পড়িয়ে এ দুই পরীক্ষা নেওয়া হবে।
শিক্ষা বোর্ডগুলো কেন্দ্রের তালিকাও প্রকাশ করেছে। প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করে ছাপানোর জন্য বিজি প্রেসে পাঠিয়েছে। তবে করোনার কারণে এসএসসির ফরম পূরণ স্থগিত করা হয়েছে। পরে নতুন সময়সূচি জানানো হবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এ ধরনের অনিশ্চয়তার মধ্যে পাবলিক পরীক্ষার বিকল্প খুঁজছে সরকার। আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নেহাল আহমেদকে আহবায়ক করে এ লক্ষ্যে ১১ সদস্যের কমিটি করা হয়েছে।
অধ্যাপক নেহাল আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, করোনার ঊর্ধ্বগতির কারণে কবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কবে খুলবে তা বলতে পারছি না। পাবলিক পরীক্ষা ও শ্রেণি পরীক্ষাও নেওয়া যাচ্ছে না। স্কুল-কলেজও বন্ধ। সেজন্য পড়ালেখা চালিয়ে যেতে বিকল্প উপায় খুঁজে পাওয়া যায় কিনা, তা খুঁজতে ১১ সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করে মতামত জানাবেন বলেও জানান তিনি।
Discussion about this post