শিক্ষার আলো ডেস্ক
ইন্টারনেট সহজলভ্য না হওয়ায় এবং ডিভাইস সংকটের কারণে করোনাকালে অনলাইন শিক্ষায় বৈষম্য দেখা যাচ্ছে। ভবিষ্যতে এ ধরণের মহামারির চিন্তা মাথায় রেখে ডিজিটাল শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন করতে হবে। শিক্ষার জন্য ইন্টারনেট বিনামূল্যে দিতে হবে। সেই সঙ্গে প্রাথমিকের শিশুদের বিকাশে ইন্টারনেট ছাড়াও অফলাইনে ব্যবহার করা যায় এমন অ্যাপগুলোকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের স্কুলগুলোতে ছড়িয়ে দিতে হবে।
সোমবার (১২ এপ্রিল) বিকালে ভলান্টারি সার্ভিস ওভারসিজের (ভিএসও) আয়োজনে এক ওয়েবিনারে এসব মত প্রকাশ করেন বক্তারা। এতে সহযোগিতা করে প্রথম আলো। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
শিক্ষার জন্য বিনামূল্যে ইন্টারনেট সেবার পরামর্শকে যৌক্তিক উল্লেখ করে মোস্তফা জব্বার বলেন, দেশের ৯৯ শতাংশ অঞ্চল এখন ফোর-জি নেটওয়ার্কের আওতায়। তবে স্মার্টফোনের মতো ডিভাইস হাকে না থাকলে শিক্ষার্থীরা অনলাইন ক্লাসে যুক্ত হতে পারে না। স্মার্টফোনের সংকট রয়েছে। এছাড়া দেশের শিক্ষক ও অভিভাবকরা ছেলেমেয়েদের হাতে ডিভাইস তুলে দেওয়াকে ভয়াবহ মনে করে।
ভিএসও অ্যাপের মাধ্যমে আরো বহু ধরণের কনটেন্ট তৈরি করে শিশুদের কাছে পৌঁছানোর সুযোগ আছে বলেও মনে করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে ভিএসও স্কুল অ্যাপের মাধ্যমে কিভাবে আনন্দের সঙ্গে প্রান্তিক শিশুদের শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে সেসব তথ্য তুলে ধরা হয়।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সরকারের অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রকল্পের নীতিনির্ধারণী বিশেষজ্ঞ আফজাল হোসেন সারওয়ার, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল এন্ড কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক এম রোকনুজ্জামান, ভিএসও স্কুল অ্যাপের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ‘উস্তাদ মোবাইল’-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মাইক ডাউসন, ভিএসও’র প্রধান শিক্ষা বিষয়ক কারিগরি উপদেষ্টা পূর্ণা শ্রেষ্ঠা, ভিএসও’র শিক্ষা বিশেষজ্ঞ মেরি ওয়াটকিনস, ভিএসও’র প্রকল্প বাস্তবায়ন প্রধান সালেহউদ্দিন আহমেদ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রথম আলোর যুব কার্যক্রম ও ইভেন্টেসের প্রধান মুনির হাসান।
Discussion about this post