নিজস্ব প্রতিবেদক
আগামী ২২ জুন থেকে ইউনিট অনুযায়ী পর্যায়ক্রমে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। তবে চলমান করোনাভাইরাসের কারণে সেই পরীক্ষা পেছাতে পারে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা বলছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
কর্তৃপক্ষের সর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ‘বি’ ইউনিটের পরীক্ষা হবে আগামী ২২ ও ২৩ জুন, ‘ডি’ ইউনিটে ২৪ ও ২৫ জুন, ‘এ’ ইউনিটে ২৮ ও ২৯ জুন, ‘সি’ ইউনিটে ৩০ জুন এবং ‘বি-১’ ও ‘ডি-১’ উপ-ইউনিটে ১ জুলাই।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানিয়েছে, দেশে যে হারে করোনায় মানুষ মারা যাচ্ছে, এই অবস্থা অব্যাহত থাকলে ২২ জুন থেকে ভর্তি পরীক্ষা শুরু করা সম্ভব হবে না। কেননা ভর্তিচ্ছুদের পাশাপাশি শিক্ষকদেরও নিরাপত্তার বিষয়টি রয়েছে। ফলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত পরীক্ষা আয়োজনের সম্ভাবনা নেই।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক অনুষদের ডিনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, করোনা মহামরীর প্রকোপ কমে না আসলে পরীক্ষা পেছানো হতে পারে। তারা বলছেন, এখনই এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার কিছু নেই। করোনা পরিস্থিতি কোন দিকে যায় সেটি দেখেই তারা সিদ্ধান্ত নিতে চান তারা। পরিস্থিতি যদি ভালো হয়ে যায় তাহলে যথা সময়েই ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার বলেন, করোনা সংক্রমণের হার না কমলে বা পরিস্থিতি আরও নাজুক হলে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ পেছানো হবে। তবে এটি নিয়ে এখনো কোনো আলোচনা হয়নি।
উপাচার্য বলেন, ভর্তির আবেদন প্রক্রিয়া শেষ হলে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ইতিমধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার তারিখ পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। সে হিসেবে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষাও পেছানো হতে পারে।
এর আগে আজ বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কমিটির জরুরি বৈঠকে ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে ১মবর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ পুন:নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২১ মে এর পরিবর্তে আগামী ৩১ শে জুলাই থেকে ভর্তি পরীক্ষা শুরু হবে।
চবির আসনসংখ্যা
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪৮টি বিভাগ ও ৬টি ইনস্টিটিউট রয়েছে। এতে ৪ হাজার ৯২৬টি আসন আছে। এর মধ্যে ‘এ’ ইউনিটে আসন রয়েছে ১ হাজার ২১২টি, ‘বি’ ইউনিটে ১ হাজার ২২১টি, ‘সি’ ইউনিটে ৪৪১টি, ‘ডি’ ইউনিটে ১ হাজার ১৬০টি। উপ-ইউনিটের মধ্যে ‘বি-১’ ইউনিটে ১২৫টি ও ‘ডি-১’ ইউনিটে ৩০টি আসন রয়েছে।
Discussion about this post