নিজস্ব প্রতিবেদক
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি আবেদনের জন্য সুপারিশকৃত পদ্ধতি বাতিল করা হয়েছে। আজ শনিবার (০১ মে) কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা পরিচালনা কমিটির জরুরি সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে ভর্তি পরীক্ষা পরিচালনা কমিটির একাধিক সদস্য জানান, সম্প্রতি ভর্তি পরীক্ষায় আবেদনের ব্যাপারে যা সুপারিশ করা হয়েছিল তা বাতিল করা হয়েছে। এ বছরেও সকল আবেদনকারী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে এবং ‘আবেদন ফি’ আগের মতই থাকবে।
‘‘এ ব্যাপারে নতুন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। মহামারি পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে।’’
এর আগে গত ২৯ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা পরিচালনা কমিটির ৫ম বৈঠকে ‘এ’, ‘বি’, ‘সি’, ‘ডি’ ও ‘ই’ ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষার আবেদন ফি ছিল ৬০০ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ১১০০ টাকা করা হয়। একইসঙ্গে ইনিস্টিটিউটগুলোতে ভর্তি পরীক্ষার আবেদন ফি ৪০০ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ৭০০ টাকা করা হয়।
এছাড়া ভর্তি পরীক্ষার আবেদন দুই ধাপে নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। প্রথম ধাপে ৫৫ টাকা দিয়ে শিক্ষার্থীদেরকে আবেদন করতে হবে। তারপর রেজাল্টের ভিত্তিতে বাচাই করে নির্দিষ্ট সংখ্যক শিক্ষার্থীকে পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ দেয়ার কথা বলা হয়।
এ সুপারিশকৃত সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বিতর্ক তৈরি হয় সর্বমহলে। ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে জাবি প্রশাসনের এসব সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দেয় সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, ছাত্র ইউনিয়ন, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ, জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোট।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘করোনা মহামারীতে সবচেয়ে বিপর্যস্ত শিক্ষা খাত। এক দীর্ঘ অনিশ্চয়তার মধ্যে দিনযাপন করছেন শিক্ষার্থীরা। এক দিকে মানসিক চাপ, অন্যদিকে অর্থনৈতিক চাপ, সবকিছু মিলিয়ে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন বিপন্ন। এরই মধ্যে জাবি প্রশাসন ভর্তি আবেদন ফি দিগুণ করেছে। এর মধ্যে দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় তার পাবলিক চরিত্র হারিয়ে আরও স্পষ্ট রূপে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের চরিত্রে অবনমন ঘটালো।’
Discussion about this post