জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, কথা ছিল গত ৩০ মার্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার পর সংক্ষিপ্ত সিলেবাস শেষ করে পরবর্তী দুই সপ্তাহ পর এসএসসি ও সমমান এবং এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এসএসসি ও সমমানের জন্য ৬০ দিন এবং এইচএসসি ও সমমানের জন্য ৮৪ দিনের সংক্ষিপ্ত সিলেবাস শেষ করতে হবে। এরপর দুই সপ্তাহ সময় দিয়ে দুই পরীক্ষাই নেওয়া হবে। কিন্তু করোনাভাইরাসের সংক্রমণ গত বছরের চেয়ে বেড়ে যাওয়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি বাড়ানো হয় আগামী ২২ মে পর্যন্ত। সেই হিসাবে আগামী ২৩ মে থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কথা থাকলেও তা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
করোনাভাইরাসের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় এর বিস্তার রোধে লকডাউন ঘোষণা করে সরকার। বিদ্যমান পরিস্থিতি অনুযায়ী ‘জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটি’র সদস্য অধ্যাপক ডা. কাজী তারিকুল ইসলাম গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আগামী তিন মাসের আগে হয়তো করোনাভাইরাস পরিস্থিতি স্থিতিশীল অবস্থায় আসবে না।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, করোনা পরিস্থিতি শিগগিরই অনুকূলে আসার সম্ভাবনা না থাকায় শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে নিতে নতুন করে চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে। লকডাউনের পর অ্যাসাইনমেন্ট চালু করা হবে। যেসব প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা রয়েছে এমন প্রতিটি বিদ্যালয়কেই অনলাইনে ক্লাস নিতে হবে।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক বলেন, ‘করোনাভাইরাস সংক্রমণ ৫ শতাংশের নিচে এলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সীমিত আকারে খুলে দিয়ে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার জন্য তৈরি সংক্ষিপ্ত সিলেবাস শুরু করা হবে। আর অন্যান্য ক্লাসও শুরু করা হবে পর্যায়ক্রমে। লকডাউনের কারণে শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া বন্ধ রয়েছে। লকডাউন শেষ হলে অ্যাসাইনমেন্ট ব্যবস্থা শুরু করা হবে।’
এভাবে করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে সরকার। শিক্ষার্থীদের দুর্বলতা চিহ্নিত করে সমাধানের ব্যবস্থা নেওয়া হবে লকডাউনের পর থেকেই। সংসদ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার, কমিউনিটি রেডিও এবং মোবাইল ফোনের মাধ্যমেও শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হবে। পাশাপাশি অনলাইন পাঠদান অব্যাহত রাখা হবে।
Discussion about this post