নিজস্ব প্রতিবেদক
এই বছর বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাউবি) শিক্ষার্থীরা মাস্টার্স অব লজ (এলএলএম) ভর্তির সুযোগ পাচ্ছেন না। ২০২১ সাল পর্যন্ত সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ব্যাচেলর অব লজ (এলএলবি) বিষয়ের তিন ব্যাচের শতাধিক শিক্ষার্থী এলএলবি শেষ করলেও উচ্চতর এলএলএম পড়ার সুযোগ বঞ্চিত।
এই পরিস্থিতিতে আইন বিষয়ের তৃতীয় ব্যাচের শিক্ষার্থীরা সম্প্রতি লিখিত আবেদন জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির রেজিস্ট্রারের কাছে।
আবেদনে শিক্ষার্থীরা বলেছেন, বাউবির সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের মানবিক ও ভাষা স্কুল পরিচালিত আইন (অনার্স) বিষয়ের শিক্ষার্থীরা করোনা মহামারির দীর্ঘ এক বছর পর গত ১২ ফেব্রুয়ারি অষ্টম সেমিস্টারের পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে। বর্তমানে এলএলএম প্রোগ্রাম চালু না থাকায় তৃতীয় ব্যাচের শিক্ষার্থীসহ শতাধিক শিক্ষার্থী আইন বিষয়ে উচ্চতর মাস্টার্স অব লজ (এলএলএম) ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছি।
লিখিত আবেদনে আরও বলা হয়, বাউবির সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের মানবিক ও ভাষা অনুষদের অধীনে সাতটি বিষয়ে চার বছর মেয়াদি অনার্স কোর্স চালু রয়েছে। এর মধ্যে আইন ছাড়া ছয়টি বিষয়ের স্নাতকোত্তর প্রোগ্রাম চালু আছে।
এই পরিস্থিতিতে আসন্ন সেশন থেকে মাস্টার্স অব লজ চালু করে আইন বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ দেওয়ার দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রবিবার (৩০ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. নাসিম বানু বলেন, ‘নিয়মিত উপাচার্য নেই। তারপর আমরা আগামী ২০২২ সাল থেকে এলএলএম চালু করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। ডিন আমাকে জানিয়েছেন আগামী বছর চালু করা সম্ভব হবে।’
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, ‘তিন ব্যাচের শতাধিক ছাত্র থাকলেও এলএলএম খোলার কোনও ব্যবস্থা দেখছি না। অনার্স প্রোগ্রাম চালু না থাকলেও করোনার মধ্যে মাস্টার্স ইন ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড ক্রিমিনাল জাস্টিস প্রোগ্রাম খোলা হয়েছে। অথচ মাস্টার্স অব লজ প্রোগ্রাম খোলা হচ্ছে না। শুধুমাত্র কর্তৃপক্ষের অসহযোগিতার কারণে এই প্রোগ্রামটি খোলা হচ্ছে না।
তৃতীয় ব্যাচের শিক্ষার্থী গাজী হাসান মাহমুদ বলেন, ‘শতাধিক শিক্ষার্থী স্নাতকোত্তর প্রোগ্রামে ভর্তির অপেক্ষায় রয়েছি। সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের মানবিক ও ভাষা অনুষদের অধীনে সাতটি বিষয়ে চার বছর মেয়াদি অনার্স কোর্স চালু রয়েছে। এর মধ্যে শুধু আইনের মাস্টার্স প্রোগ্রাম চালু নেই। আমরা উত্তর ডিগ্রি নিতে পারছি না।’
Discussion about this post