নিজস্ব প্রতিবেদক
এক বছরেরও বেশি সময় ধরে করোনার কারণে বন্ধ রয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। এসময় অনলাইনের মধ্যমে ক্লাস অনুষ্ঠিত হলেও কোন পরীক্ষা নেওয়া হয়নি। গতকাল সোমবার (৩১ মে) শিক্ষা মন্ত্রণালয়, ইউজিসি ও সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সঙ্গে এক সভায় শর্ত সাপেক্ষে দেশের সব পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়কে সরাসরি ও অনলাইনে পরীক্ষা গ্রহণের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
এরপর আজ মঙ্গলবার (১ জুন) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের এক বিশেষ ভার্চুয়াল সভায় আগামী ১৫ জুন থেকে সশরীরে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।এছাড়া, সভায় সেশনজট নিরসন এবং শিক্ষার্থীদের একাডেমিক ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে লস রিকোভারি প্ল্যান প্রণয়ন করা হয়েছে।
জানা গেছে, এই প্লানের আওতায় সেমিস্টার পদ্ধতির ক্ষেত্রে পরীক্ষাসহ সেমিস্টারকাল ৬ মাসের পরিবর্তে ৪ মাস এবং বার্ষিক কোর্স পদ্ধতির ক্ষেত্রে ১২ মাসের পরিবর্তে ৮ মাস করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। পরীক্ষার ফলাফল দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রকাশসহ পরীক্ষার শিফট সংখ্যা বৃদ্ধি করারও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
আর বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, যেসব বর্ষের/সেমিস্টারের শিক্ষার্থীদের সেশনজট হয়েছে কিংবা সম্ভাবনা রয়েছে তাদের সেমিস্টারকাল ৬ মাসের পরিবর্তে ৪ মাস এবং বার্ষিক কোর্স পদ্ধতির ক্ষেত্রে ১২ মাসের পরিবর্তে ৮ মাস করা হবে। তাছাড়া সিলেবাস সংক্ষিপ্ত হবে কিনা সে সিদ্ধান্ত বিভাগ/ইনিস্টিটিউটগুলোকে নিতে বলা হয়েছে।
Discussion about this post