জামালপুর: গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় এবং নানা অনুষ্ঠানমালার মধ্য দিয়ে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেফমুবিপ্রবি) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৈয়দ সামসুদ্দিন আহমেদ মঙ্গলবার (১৭ মার্চ) সকালে মেলান্দহ উপজেলার মালঞ্চে বশেফমুবিপ্রবির মূল ক্যাম্পাসে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতার প্রতিকৃতিতে ফুলেল শ্রদ্ধা জানিয়ে দিনের কর্মসূচির সূচনা করেন।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার খন্দকার হামিদুর রহমান, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন সুশান্ত কুমার ভট্টাচার্য, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. আনোয়ার হোসেন, ডেপুটি রেজিস্ট্রার মহিউদ্দিন মোল্লা, সমাজকর্ম বিভাগের চেয়ারম্যান ড. এএইচএম মাহবুবুর রহমান, কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মাহমুদুল আলম, গণিত বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মুহম্মদ শাহজালাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে জাতির পিতার জন্মদিনের কেক কাটেন উপাচার্য। এ সময় তিনি বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক আদর্শ ও চিন্তাধারা এবং স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পথপরিক্রমায় সংঘটিত বিভিন্ন রক্তক্ষয়ী সংগ্রামে বঙ্গবন্ধুর বিচক্ষণ নেতৃত্বের কথা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন।
সাধারণ মানুষের কল্যাণে বঙ্গবন্ধুর আজীবন সংগ্রামের কথা এবং বঙ্গবন্ধুর সব কাজের অনুপ্রেরণা হিসেবে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের অবদানের কথা তুলে ধরেন তিনি।
উপাচার্য ড. সৈয়দ সামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, চারিত্রিক গুণাবলীর সঙ্গে রাজনৈতিক ধীশক্তির সংমিশ্রণে বঙ্গবন্ধু হয়ে উঠেছিলেন রাজনীতির কবি। একাধারে তিনি হাজার বছরের পুরোনো একটি জাতির মধ্যে জাতীয়তাবাদের উন্মেষ ঘটিয়ে তাদের সংঘবদ্ধ এবং সুদীর্ঘ সংগ্রামের মাধ্যমে শোষিত একটি জাতিকে স্বাধীন জাতিতে রূপান্তরিত করেছেন। তাই তিনি স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি-সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি।
এ সময় তিনি জাতির পিতার মহান আদর্শ অনুসরণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে সবাইকে নিজ নিজ জায়গা থেকে প্রয়াস অব্যাহত রাখতে আহ্বান জানান।
এদিকে মুজিববর্ষ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বছরজুড়ে নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এরই অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে স্থাপন করা হয়েছে ‘বঙ্গবন্ধু কর্নার’।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর এই ক্ষণে ‘বঙ্গবন্ধু কর্নার’ উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. সৈয়দ সামসুদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক আদর্শ ও গণমানুষের কল্যাণে তাঁর অসামান্য অবদান আমাদের শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রসারের লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু কর্নার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
‘বঙ্গবন্ধু কর্নার’কে ক্রমান্বয়ে আরও সমৃদ্ধ করার কথাও জানান উপাচার্য।
‘বঙ্গবন্ধু কর্নারে’ জাতির পিতার জীবন ও কর্ম নিয়ে লেখা বিভিন্ন বই, নির্মিত বিভিন্ন তথ্যচিত্র ও অন্যান্য শিল্পকর্ম স্থান পেয়েছে। উদ্বোধন শেষে ‘বঙ্গবন্ধু কর্নার’ ঘুরে দেখেন অধ্যাপক ড. সৈয়দ সামসুদ্দিন আহমেদ, রেজিস্ট্রার খন্দকার হামিদুর রহমানসহ শিক্ষক-কর্মকর্তারা।
সবশেষে ‘মুজিববর্ষ’ উপলক্ষে বশেফমুবিপ্রবির নেওয়া বৃক্ষরোপন কর্মসূচির অংশ হিসেবে ক্যাম্পাসে শতাধিক গাছের চারা লাগানো হয়।
এসব কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয়টি বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অংশ নেন।
Discussion about this post