শিক্ষার আলো ডেস্ক
বাংলাদেশকে মাদক মুক্ত দেশ হিসেবে গড়তে সব বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী ভর্তিতে ডোপটেস্ট বাধ্যতামূলক করার সুপারিশ করেছিল আইন শৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
তারই ধারাবাহিকতায় দেশের সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও স্কুল-কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে ডোপ টেস্টের সুপারিশ বাস্তবায়নের নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। শুধু ভর্তির সময়ই নয়, শিক্ষার্থী ভর্তি হওয়ার নির্দিষ্ট সময় পর পুনঃরায় শিক্ষার্থীদের ডোপ টেস্ট করারও নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
তথ্যমতে, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে মন্ত্রীপরিষদের আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভায় শিক্ষার্থী ভর্তিতে ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক করা হয়। বৈঠকে নেয়া সিদ্ধান্তের কথা চিঠির মাধ্যমে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব ও কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা সচিবকে গত ১১ জুন জানানো হয়। এর গত ২৪ মে মন্ত্রী পরিষদের নেয়া সিদ্ধান্তের অগ্রগতি জানতে চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে পাঠানো চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক বাস্তবায়নে গত ৩১ মে চিঠি জারি করে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ। চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিব ইছমত উল্লাহ। আর কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ থেকে ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলকের আদেশ জারি হয় গত ৪ জুন।
এদিকে গত ৪ এপ্রিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদারাসা শিক্ষা বিভাগ থেকে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী ভর্তিতে ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক করে আদেশ জারি করা হয়েছে। চিঠিটি কারিগরি শিক্ষা বোর্ড, মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড, মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর ও কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদারাসা শিক্ষা বিভাগ থেকে এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করে জননিরাপত্তা বিভাগকে জানাতে বলা হয়েছে কারিগরি শিক্ষা বোর্ড, মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড, মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর ও কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরকে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী ভর্তির সময় ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক করতে হবে। এছাড়া শিক্ষার্থী ভর্তির পর নির্দিষ্ট সময় পর পর তা পুনরায় পরীক্ষা করতে হবে। ডোপ টেস্টের অগ্রগতির প্রতিবেদন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) ও মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরকে (মাউশি) জানাতে বলা হয়েছে।
Discussion about this post