নিজস্ব প্রতিবেদক
নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে আসন্ন অর্থ বছরেও এমপিও দেয়া হবে। বাজেটে এজন্য ২৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। তবে এমপিও পেতে কঠিন শর্ত পূরণ করতে হবে বিদ্যালয়গুলোকে। এর ফলে অনেক প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হতে পারবে না বলে জানা গেছে।
নীতিমালার শর্ত অনুযায়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে এমপিও পেতে পাশের হার ৪৫ থেকে ৭০ শতাংশ হতে হবে। এছাড়া মোট ১০০ নম্বরের মানদণ্ডে শিক্ষার্থীর সংখ্যায় ৩০, পাশের হারে ৪০ এবং পরীক্ষার্থীর সংখ্যার উপর ৩০ নম্বর রাখা হয়েছে।
জানা যায়, ২০২১ সালে নতুন এমপিও পেতে নিম্নমাধ্যকি পর্যায়ে শহরে ১২০ মফস্বলে ৯০, মাধ্যমিকে শহরে ২০০ মফস্বলে ১৫০, উচ্চমাধ্যমিকে শহরে ৪২০ মফস্বলে ৩২০, উচ্চমাধ্যমিক কলেজে শহরে ২৫০ মফস্বলে ২২০ ও ডিগ্রি কলেজে স্নাতকে শহরে ৪৯০ মফস্বলে ৪২৫ জন শিক্ষার্থী থাকতে হবে। যদিও এর আগের এমপিও নীতিমালায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা কম রাখা হয়েছিল।
এ প্রসঙ্গে নীতিমালা সংশোধনী কমিটির সদস্য ও নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যক্ষ গোলাম মাহমুদুন্নবি ডলার গণমাধ্যমকে জানান, এমপিও পেতে যে নীতিমালা করা হয়েছে সেটির সাথে আমরা একমত নই। কেননা এই নীতিমালায় কোনো কলেজই এমপিও পাবে না।
তিনি বলেন,নীতিমালার শর্তে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। এতে এমপিও পাওয়ার পথ রুদ্ধ করা হয়েছে। নতুন নীতিমালা মফস্বলের তো দূরের কথা শহরের অনেক প্রতিষ্ঠানও এমপিও পাবে না। এই নীতিমালা এখন যে প্রতিষ্ঠানগুলো এমপিও পাচ্ছে সেখানে প্রয়োগ করা হলে অনেক প্রতিষ্ঠানের এমপিও বাতিল হয়ে যাবে।
Discussion about this post