ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) বছরব্যাপী নানা কর্মসূচির মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।
মঙ্গলবার (১৭ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মৃতি চিরন্তন প্রাঙ্গণে আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।
বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, মুজিববর্ষ উপলক্ষে আগামী ৫ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশেষ সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হবে। সমাবর্তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সম্মানসূচক ‘ডক্টর অব লজ (মরণোত্তর) ডিগ্রি’ দেওয়া হবে। এছাড়া নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ ব্যানার্জি সমাবর্তন বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখবেন। অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্য এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত থাকবেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রিসার্চ ইনস্টিটিউট ফর পিস অ্যান্ড লিবার্টি’ প্রতিষ্ঠা, আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন, প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ এবং ‘বঙ্গবন্ধু ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’ শীর্ষক গ্রন্থ প্রকাশ করা হবে বলে উপাচার্য উল্লেখ করেন।
আলোচনা সভায় অংশ নেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দীন, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূঁইয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব রঞ্জন কর্মকার, ডাকসুর ভিপি মো. নুরুল হক নুর, এজিএস মো. সাদ্দাম হোসেনসহ অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন, কর্মচারী সমিতি, কারিগরি কর্মচারী সমিতি এবং চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. এনামউজ্জামান সভা পরিচালনা করেন।
অপরদিকে, স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। কর্মসূচির মধ্যে ছিল- বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ, আলোচনা সভা, ফেস্টুনসহ ১০০টি বেলুন ওড়ানো, ১০০ পাউন্ডের কেক কাটা, সংগীতানুষ্ঠান ইত্যাদি।
সকালে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্যরা ধানমন্ডির বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে যান। বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। একইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল ও হোস্টেলগুলোতে মিষ্টি বিতরণ করা হয়। বাদ জোহর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়েও প্রার্থনার আয়োজন করা হয়।
Discussion about this post