নিজস্ব প্রতিবেদক
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার বলেছেন, বার্ষিক কর্মপরিকল্পনা যত বেশি সুনির্দিষ্ট হবে, বাস্তবায়ন ততো বেশি সঠিক হবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নেওয়ার পথ সুগম হবে। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়কে সার্বিক গ্রেডিং ও র্যাঙ্কিং-এ শীর্ষ অবস্থানে নেয়া সম্ভব হবে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়োজনে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির (এপিএ) আবশ্যিক কৌশলগত উদ্দেশ্য অর্জনের লক্ষ্যে ২০২০-২০২১ অর্থবছরের এপিএ চুক্তি বিষয়ক আজ দিনব্যাপী এক কর্মশালা উদ্বোধনকালে উপাচার্য একথা বলেন।
উপাচার্য বলেন, ‘দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণার সর্বোচ্চ পাদপীঠ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়কে দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠের আসনে অধিষ্ঠিত করতে বর্তমান প্রশাসন বদ্ধপরিকর। এ লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্ধারিত সকল পর্ষদকে যথাযথভাবে সচল করে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বর্তমান প্রশাসন সততা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক, প্রশাসনিক ও ভৌত অবকাঠামো উন্নয়নে কার্যকর ভূমিকা রেখে চলেছে। সততা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার কোনো বিকল্প নেই।’
তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের নির্ধারিত পর্ষদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব কর্মদক্ষতা ও বিচক্ষণতার সাথে পালন করে নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণের মাধ্যমে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতে হবে। আমরা প্রত্যেকে প্রত্যেকের কাছে দায়বদ্ধ।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) উপাচার্য দপ্তরের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর বেনু কুমার দে।
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন চবি রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর এসএম মনিরুল হাসান। চবি সিন্ডিকেট সদস্যবৃন্দ, অনুষদের ডিনবৃন্দ, চবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, কলেজ পরিদর্শক, হলের প্রভোস্টবৃন্দ, বিভিন্ন বিভাগের সভাপতি ও ইনস্টিটিউটের পরিচালকবৃন্দ, নৈতিকতা কমিটির সদস্যবৃন্দ, পরিচালক ছাত্র-ছাত্রী নির্দেশনা ও পরামর্শ কেন্দ্র, অফিস প্রধানবৃন্দ, এপিএ কমিটির সদস্যবৃন্দ, চবি অফিসার সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং সংশ্লিষ্ট শিক্ষক-কর্মকর্তাদের নিয়ে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
Discussion about this post