নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটে ২০২১-২০২২ অর্থ বছরের জন্য ৮শ’ ৩১ কোটি ৭৯ লাখ টাকার বাজেট উপস্থাপন করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) বিকেল ৩টায় নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে বাজেট অধিবেশন শুরু হয়।
২০২০-২১ অর্থবছরের সংশোধিত ও ২০২১-২২ অর্থ বছরের বাজেট উপস্থাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, ২০২১-২০২২ অর্থ বছরের জন্য সিন্ডিকেট ৮৩১ কোটি ৭৯ লাখ টাকার প্রস্তাবিত অনুন্নয়ন ব্যয় অনুমোদন করেছে। এর মধ্যে বেতন, ভাতা ও পেনশন বাবদ ৬১১ কোটি ৮৯ লাখ ৬৫ হাজার টাকা যা মোট ব্যয়ের ৭৩ দশমিক ৫৭ শতাংশ, গবেষণা মঞ্জুরি বাবদ ১৯ কোটি টাকা যা মোট ব্যয়ের ১ দশমিক ৩২ শতাংশ, অন্যান্য অনুদান বাবদ ১৯ কোটি ১২ লাখ টাকা যা প্রস্তাবিত ব্যয়ের ২ দশমিক ৩০ শতাংশ, পণ্য ও সেবা বাবদ ১৬৮ কোটি ৮ লাখ ৩৫ হাজার টাকা যা মোট ব্যয়ের ২০ দশমিক ২০ শতাংশ এবং মূলধন খাতে ২১ কোটি ৬৯ লাখ টাকা যা মোট ব্যয়ের ২ দশমিক ৬১ শতাংশ বরাদ্দ রাখা হয়েছে। বিমক থেকে পাওয়া যাবে ৬৯৬ কোটি ৫৪ লাখ টাকা, নিজস্ব আয় ধরা হয়েছে ৬৫ কোটি টাকা এবং ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াবে ৭০ কোটি ২৫ লাখ টাকা, যা প্রাক্কলিত ব্যয়ের ৮ দশমিক ৪৫ শতাংশ। ২০২০-২০২১ অর্থ বছরের মূল বাজেটে বিমক-এর অনুদানের তুলনায় ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে বিমক-এর বরাদ্দ ৫১ কোটি ৫২ লাখ টাকা কমবে।
কোষাধ্যক্ষ বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কোনো লাভজনক প্রতিষ্ঠান নয় বিধায় নিজস্ব তহবিল থেকে ঘাটতি মেটানো সম্ভব হবে না।
প্রতি বছর এভাবে তহবিলের ঘাটতি হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন কষ্টসাধ্য হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আয়ের নতুন নতুন খাত খুঁজে বের করতে হবে অথবা সরকার থেকে বিশেষ অনুদান চাওয়া যেতে পারে।
ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী নিজ উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের হল ও একাডেমিক ভবন মেরামত ও সংস্কারের জন্য বিমককে একটি বিশেষ তহবিল দিয়েছেন, যেখান থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে ৬ কোটি ৩০ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও গভীর কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
Discussion about this post