মো. সাইদুল ইসলাম চৌধুরী
সাদার্ন ইউনিভার্সিটির সাবেক উপাচার্য ও বরেণ্য শিক্ষাবিদ প্রফেসর মোহাম্মদ আলীর মৃত্যুতে তিন দিনের শোকসহ নানা কর্মসূচি পালন করেছে সাদার্ন ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ। প্রয়াত এ গুণী শিক্ষকের স্মরণে তাঁর কর্ম ও জীবন নিয়ে বিশেষ আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিলসহ বিভিন্ন কর্মসূচি আয়োজন করে ইউনিভার্সিটি।
আজ রোববার সকাল ১১টায় উপাচার্য প্রফেসর ইঞ্জিনিয়ার মো. মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে আয়োজিত ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিশেষ স্মরণসভায় অনলাইনে যুক্ত ছিলেন উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠাতা প্রফেসর সরওয়ার জাহান, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, উপদেষ্টা, বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষকবৃন্দসহ কর্মকর্তারা। স্মরণসভার আলোচনায় বক্তারা বলেন, প্রফেসর মোহাম্মদ আলী ছিলেন নানা গুণে গুণান্বিত এমন এক প্রতিভাবান ব্যক্তিত্ব যা অন্যদের জন্য অনুকরণীয়—অনুসরণীয়।
তিনি শুধূ গুণী শিক্ষকই ছিলেন না একইসাথে দক্ষ প্রশাসকও ছিলেন। জ্ঞানের বিস্তৃত পরিধি, শিষ্টাচার, সৌজন্যতাবোধ, অসাধারণ বাচনভঙ্গির কারণে প্রথম দেখায় যে কেউ মুগ্ধ হয়ে যেতেন উনার সান্নিধ্যে আসলে। তিনি যে সকল প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে ছিলেন সবখানেই তাঁর বহুমুখি জ্ঞানের আলোয় আলোকিত করেছেন। সত্যিকার অর্থে কিছু মানুষের শূন্যতা কখনো পূর্ণতা হয়না, প্রফেসর মোহাম্মদ আলীও ঠিক এমনি একজন মানুষ।
আমাদের জন্য পরম সৌভাগ্যের বিষয় তাঁর মতো এমন বরেণ্য ব্যক্তিকে আমরা উপাচার্য হিসেবে পেয়েছিলাম এবং কাছে থাকার সুযোগ হয়েছিলো। দক্ষ নেতৃত্ব, সুশাসন ও ভালোবাসায় তিনি সাদার্ন ইউনিভার্সিটিকে নিয়ে গেছেন এক অনন্য উচ্চতায়।
বক্তারা আরও বলেন, প্রফেসর মোহাম্মদ আলীর মৃত্যুতে শুধু সাদার্ন নয় পুরো দেশের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। দেশ ও জাতির স্বার্থে এমন গুণী ব্যক্তিত্বের খুব প্রয়োজন। সাদার্ন ইউনিভার্সিটির পথচলায় তাঁর অবদান অবিস্মরণীয়।
সাদার্ন ইউনিভার্সিটির প্রতিটি মানুষের কাছে তিনি ছিলেন অভিভাবক, প্রিয় শিক্ষক, পথ প্রদর্শক, জ্ঞান প্রদীপ ও অনুপ্রেরণার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। কর্মে তিনি বেঁচে থাকবেন হাজারো মানুষের হদয়ে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায়। আমরা সকলে দোয়া করি আল্লাহ যেন উনাকে জান্নাত দান করেন। পরে প্রয়াত প্রফেসর মোহাম্মদ আলীর আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
Discussion about this post