নিজস্ব প্রতিবেদক
আবারো করোনার কারণে কঠোর লকডাউন দেওয়ায় এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষা হওয়ার সম্ভাবনাও কমছে। এ জন্য পাবলিক পরীক্ষার বিষয়ে বিকল্প পদ্ধতি নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করেছেন নীতি-নির্ধারকরা। এ ক্ষেত্রে ফলাফল দেওয়ার জন্য দুটি বিকল্প পদ্ধতি গ্রহণযোগ্য হতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সূত্র জানিয়েছে, দুই বিকল্প পদ্ধতির মধ্যে একটি পূর্ববর্তী পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে। দ্বিতীয়টি সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের ওপর অ্যাসাইনমেন্ট জমা নিয়ে মূল্যায়ন। এরইমধ্যে করোনার কারণে এইচএসসি ও সমমানের ফরম পূরণও স্থগিত করা হয়েছে। রোববার (২৭ জুন) এই স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সচিব অধ্যাপক তপন কুমার সরকার এ বিষয়ে বলেন, ‘সশরীরে পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। বিকল্প কোনো কিছু থাকলে কর্তৃপক্ষই সিদ্ধান্ত নেবে।’
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, পরীক্ষা সশরীরে নেওয়া না গেলে দুটি বিকল্পই কার্যকর হতে পারে। এরমধ্যে জেএসসি ও এসএসসির ফলের ওপর মূল্যায়ন করা হতে পারে। গত বছর এসএসসির ৭৫ শতাংশ ও জেএসসির ২৫ শতাংশ নম্বর নিয়ে মূল্যায়ন করা হয়েছিল। তবে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে জটিলতা রয়েছে। তারা শুধু জেএসসি দেওয়ায় এ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তাদের জেএসসির ফল ও অ্যাসাইনমেন্টের আলোকে গ্রেড যোগ করে ফলাফল দেওয়া হতে পারে।
অন্য বিকল্পটি অ্যাসাইনমেন্টভিত্তিক হতে পারে। সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের আলো এক মাস সময় দিয়ে অ্যাসাইনমেন্ট বাসায় বসে লিখে শিক্ষার্থীরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জমা দেবে। এর আলোকে গ্রেডিং ও চূড়ান্ত ফল দেওয়া হবে। এ ছাড়া অ্যাসাইনমেন্ট ও পূর্ববর্তী পরীক্ষার ফল মিলিয়েও এসএসসি ও এইচএসসির ফল তৈরি করা হবে বলে জানা গেছে।
এর আগে এসএসসি ও এইচএসসির সংক্ষিপ্ত সিলেবাস প্রকাশ করা হয়েছে। এ সিলেবাসের আলোকেই যথাক্রমে ৬০ ও ৮৪ দিন তাদের ক্লাস নেওয়ার কথা ছিল। এরপর ১৫ দিন সময় দিয়ে পরীক্ষা নেওয়ার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু করোনার প্রকোপ ঊর্ধ্বমুখী থাকায় সশরীরে পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগ বাস্তবায়ন নিয়ে গভীর সংশয় তৈরি হয়েছে।
Discussion about this post