শিক্ষার আলো ডেস্ক
দিনাজপুরের হিলিতে করোনার সময়ে প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে চলছে বিশেষ ব্যবস্থায় পাঠদান।
অনলাইনে ক্লাসগুলো রেকর্ড করে তা মেমোরি কার্ডের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বাড়ি বাড়ি পৌছে দিচ্ছেন শিক্ষকরা, সাথে দেওয়া হচ্ছে বাড়ির কাজ।
করোনার সময়ে শিক্ষার্থীদের বিকল্প পাঠদানের এই পদ্ধতি দেশ সেরা উদ্ভাবন হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। করোনার কারণে গতবছরের ১৭ই মার্চ থেকে সারাদেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।
এতে একবছরের বেশি সময় ধরে হিলির ৪৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে। এতে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় অনেক শিশু পড়ালেখা বিমুখ হয়েছে, অনেকেই জড়িয়ে পড়ছে শিশুশ্রমে। অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম চললেও ৯০ভাগ শিশু এই কার্যক্রমের আওতার বাহিরে থাকছে।
সব শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে তাই বিশেষ ব্যবস্থায় পাঠদান চালু করেছে শিক্ষা অফিস। অনলাইনের ক্লাসগুলো রেকর্ড করে তা মেমোরি কার্ডের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বাড়ি বাড়ি পৌছে দিচ্ছেন শিক্ষকরা, সাথে দেওয়া হচ্ছে বাড়ির কাজ। করোনার সময়ে শিক্ষার্থীদের বিকল্প পাঠদানের এই পদ্ধতি দেশ সেরা উদ্ভাবন হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।
দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসার মাসুদুল হাসান বলেন,”আমরা ক্লাশের ভিডিওগুলো এন্ড্রেয়ড ফোনে ধারণ করি। ভিডিওগুলো শিক্ষকদের মাধ্যমে ছেলেমেয়েদের কাছে পৌঁছে দেই। তাদেরকে আমরা ওয়ার্কশিট বা বাড়ির কাজগুলো পৌঁছে দেই।
সেগুলো তারা করে এবং এ বাড়ির কাজগুলো তারা শিক্ষকদের কাছে ফেরত দেয়। সেগুলো দেখে শিক্ষকরা ফলাফল তৈরী করে।’ সারাদেশে এমন পদ্ধতি শুরু হলে পাঠদানের ঘাটতি যেমন পূরণ হবে তেমনি অটোপাশের প্রয়োজন পড়বে না বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নূর-এ আলম বলেন,’এ ধরণের কার্যক্রম সারাদেশে চালানো হলে করোনা কালীন সময়ের অব্যবস্থাপনা বা কিছুটা ঘাটতি এটা পুষিয়ে উঠা যাবে।’
Discussion about this post