নিজস্ব প্রতিবেদক
আরো ছয় মাস বাড়ল প্রাথমিকের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মাঝে বিস্কুট বিতরণ তথা ‘দারিদ্র্য পীড়িত এলাকায় স্কুল ফিডিং প্রকল্প’ মেয়াদ । মেয়াদ বাড়লেও প্রকল্পে ব্যয় বাড়ছে না। প্রকল্পের উদ্ধৃত টাকা দিয়ে আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রাথমিকের ৩০ লাখ শিক্ষার্থীদের উচ্চ পুষ্টিমানের বিস্কুট বিতরণ করা হবে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রকল্পের মেয়াদ বাড়াতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্মতি চেয়ে প্রস্তাব পাঠিয়েছিল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। তাতে সম্মতি দিয়ে বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে। এই সময়ের মধ্যে ‘প্রাইমারি স্কুল মিল প্রকল্প’র ডিপিপি (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা) সংশোধনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে।
তবে এখনই এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের সচিব ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি দিলে অবশ্যই প্রকল্পের মেয়াদ বাড়বে।
মন্ত্রণালয় ও প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, কোন প্রকল্পের মেয়াদ বাড়াতে হলে প্রধানমন্ত্রীর সম্মতির জন্য ফাইল পাঠাতে হয় না। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় পরিকল্পা কমিশনে প্রস্তাব পাঠালে তা পর্যালোচনা করে অনুমোদন দেয়। এর আগে ‘দারিদ্র্য পীড়িত এলাকায় স্কুল ফিডিং প্রকল্প’র মেয়াদ বাড়ানোর জন্য প্রধানমন্ত্রীর মতামতের জন্য প্রস্তাব পাঠনো হয়নি।
গত ১ জুন একনেক সভায় প্রধানমন্ত্রী ‘প্রাইমারি স্কুল মিল প্রকল্প’ অনুমোদন না দিয়ে ডিপিপি সংশোধনের প্রস্তাব দেন। নতুন প্রকল্প অনুমোদন না হওয়ায় এবং বিস্কুট বিতরণ প্রকল্পের মেয়াদ গত ৩০ জুন শেষ হয়ে যায়। নতুন প্রকেল্পর ডিপিপি সংশোধন করতে অন্তত এক বছর সময় লাগবে।
এই সময়ে বিস্কুট বিতরণ প্রকল্পের সুবিধাভোগী ৩০ লাখ শিক্ষার্থী অপুষ্টি ও ঝরে পড়া আশঙ্কা থেকে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই) ব্যয় না বাড়িয়ে আরো এক বছর প্রকল্পের মেয়াদ বাড়াতে মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠায়। গত ১০ জুন প্রস্তাবটি পাঠানো হয়েও মন্ত্রণলয়ে সচিব পরিকল্পনা কমিশনে না পাঠিয়ে সময়ক্ষেপণ করেন।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, প্রকল্পের মেয়াদ বাড়াতে হলে যৌক্তিকতা তুলে ধরে পরিকল্পনা কমিশনে প্রস্তাব পাঠাতে হয়। কমিশন প্রস্তাব যাচাই বাছাই করে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ায় সরকার।
Discussion about this post