নিজস্ব প্রতিবেদক
সারাদেশে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায দেশের ২০টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর গুচ্ছভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। এ পরীক্ষা আগামী আগস্ট মাসে আয়োজন করতে চায় এ সংক্রান্ত কমিটি। শিগগিরই এ বিষয়ে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য ও সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর গুচ্ছভর্তি পরীক্ষাবিষয়ক টেকনিক্যাল সাব-কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মুনাজ আহমেদ নূর বলেন, ‘আশা করছি, খুব শিগগির গুচ্ছভর্তি পরীক্ষার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। আগস্ট মাসের মধ্যে ভর্তি পরীক্ষা শুরু করা হতে পারে। এর আগে কিছু আনুষঙ্গিক কাজ শেষ করতে হবে। এ কাজগুলো চলমান লকডাউনের কারণে আটকে আছে।’
তিনি বলেন, ‘লকডাউন শেষ হলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব প্রথম পর্যায়ের আবেদনের বাছাইয়ের ফল প্রকাশ করা হবে। এরপর দ্বিতীয় পর্যায়ের আবেদন নেয়া শুরু হবে। দ্বিতীয় পর্যায়ের আবেদন শেষ হওয়ার ৭-১০ দিনের মধ্যে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হবে। আশা করছি- আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে গুচ্ছভর্তি পরীক্ষা শেষ করা সম্ভব হবে। তবে সবকিছুই নির্ভর করছে করোনা পরিস্থিতির ওপর।’
তিন প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়
তিন প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক প্রথম বর্ষের গুচ্ছভর্তি পরীক্ষার জন্য আগামী ১২ আগস্ট নির্ধারণ করা হয়েছে। যদিও এর আগে এ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল গত ১২ জুন।
জানতে চাইলে কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির সদস্যসচিব ও চুয়েট পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মইনুল ইসলাম বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আগামী ১২ আগস্ট পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত বহাল আছে। তবে ভর্তি পরীক্ষা কমিটি সার্বিক বিষয় পর্যবেক্ষণ করছে। করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় এনে পরীক্ষা অনুষ্ঠানের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো—চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট), খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) এবং রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
৭ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছভর্তি পরীক্ষা
দেশের সাতটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক প্রথম বর্ষের গুচ্ছভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে আগামী ৪ সেপ্টেম্বর। এর আগে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল এ মাসের ৩১ তারিখ।
এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির সভাপতি ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. গিয়াসউদ্দিন মিয়া বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ৪ সেপ্টেম্বর পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত বহাল আছে। তবে প্রয়োজন হলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো- বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।
Discussion about this post