শিক্ষার আলো ডেস্ক
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে ভর্তি বাণিজ্য, উন্নয়ন কাজে আর্থিক অনিয়ম ও শিক্ষকদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করার অভিযোগ তদন্ত করতে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড। আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের এ চিঠি সোমবার (১৯ জুলাই) স্কুলে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
বোর্ডের চেয়ারম্যানের নির্দেশক্রমে কলেজ পরিদর্শক অধ্যাপক আবু তালেব মো. মোয়াজ্জেম হোসেন স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, ঢাকা মহানগরের ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির কতিপয় সদস্যের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ পাওয়া গেছে। তার মধ্যে শিক্ষকদের সঙ্গে অশোভন আচরণ, ভর্তিসহ কলেজের যাবতীয় কাজে অযাচিত হস্তক্ষেপ, ভর্তি বাণিজ্য ও কলেজের উন্নয়ন ও সংস্কারমূলক কাজে আর্থিক অনিয়মের চেষ্টাসহ বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বলা হয়েছে, এসব অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটিতে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শক অধ্যাপক মোহাম্মদ আবুল মনছুর ভূঞাকে আহ্বায়ক করে উপপরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (সনদ) মো. হেলাল উদ্দিন ও উপকলেজ পরিদর্শক মুহাম্মদ রবিউল আলমকে সদস্য করা হয়েছে। তাদের প্রতিষ্ঠানে সরেজমিনে পরিদর্শন করে আগামী ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে বোর্ডের কলেজ পরিদর্শকের কাছে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। জনস্বার্থে এ আদেশ জারি করা হয়েছে।
প্রতিষ্ঠানের একাধিক শিক্ষক জানান, স্কুল-কলেজ ও সংরক্ষিত মহিলা আসনে নির্বাচিত মোট সাত জনের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ তোলা হয়েছে। তারা হচ্ছেন- মাধ্যমিকের অভিভাবক প্রতিনিধি সিদ্দিকী নাসির উদ্দিন ও ওয়াহেদুজ্জামান মন্টু, কলেজস্তরে অভিভাবক প্রতিনিধি মনিরুজ্জামান খোকন, বাদরুল আলম, মোর্শেদা আক্তার এবং সংরক্ষিত মহিলা আসনে নির্বাচিত রীনা পারভিন ও জান্নাতুল ফেরদৌস। তারা বিভিন্ন সময়ে অতিরিক্ত ভর্তি দিতে অধ্যক্ষকে চাপ সৃষ্টি করেন। অধ্যক্ষ তাতে রাজি না হলে তার সঙ্গে অশোভন আচারণসহ ভয়-ভীতি দেখান।
শিক্ষকরা বলেন, কিছু ব্যক্তি মোটা অংকের অর্থ খরচ করে অভিভাবক প্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত হয়ে ভর্তি বাণিজ্য, উন্নয়ন কাজের নামে ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে নানাভাবে অর্থ উপার্জনে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। তাদের অনিয়মের প্রতিবাদ করায় অধ্যক্ষের কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেওয়াসহ তাদের সঙ্গে চরম বাজে আচরণ করা হয়েছে। অভিভাবক প্রতিনিধিদের বাণিজ্যের সুযোগ না দেওয়ায় বর্তমানে নানা অজুহাতে অধ্যক্ষকে অপসারণের অভিযোগ তোলা হচ্ছে বলে জানান শিক্ষকরা।
Discussion about this post