নিজস্ব প্রতিবেদক
আজ বুধবার (৪ আগস্ট) দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) সকাল ১০টা থেকে কয়েকটি বিভাগে একযোগে আনুষ্ঠানিকভাবে অনলাইন পরীক্ষা শুরু হয়েছে।এতে শতভাগ শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন বলে জানিয়েছেন পরীক্ষা পর্যবেক্ষক অধ্যাপক ড. শ্রীপতি সিকদার।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. কামরুজ্জামান বলেন, শিক্ষার্থীদের প্রতিটি মুহূর্ত অনেক গুরুত্বপূর্ণ। সে কারণে আমি ক্যাম্পাসে এসেই শিক্ষার্থীদের সেশনজট নিরসনের লক্ষ্যে একাডেমিক কাউন্সিলের মাধ্যমে অনলাইন পরীক্ষা গ্রহণের উদ্যোগ হাতে নেই।
তিনি বলেন, অল্প খরচে যাতে শিক্ষার্থীরা ইন্টারনেট ক্রয় করতে পারে সেলক্ষ্যে মোবাইল অপারেটরদের সাথে চুক্তি চলছে সেটিও প্রায় শেষের দিকে। এছাড়া শিক্ষার্থীদের জন্য অকার্যকর ফি সমূহ মওকূফ করা হয়েছে। আমরা প্রত্যাশা করি অনলাইন পরীক্ষায় শিক্ষার্থীরা শতভাগ উপস্থিত থেকে আমাদের উদ্যোগকে স্বার্থক করে তুলবে।
অনলাইনে অনুষ্ঠিত কৃষি বিভাগের ১৬তম ব্যাচের একটি পরীক্ষায় পর্যবেক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফসল শারীরতত্ত্ব ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক এবং জনসংযোগ ও প্রকাশনা শাখার পরিচালক অধ্যাপক ড. শ্রীপতি সিকদার।
তিনি জানান, আমি মাননীয় উপাচার্য মহোদয়কে এমন সাহসী পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য ধন্যবাদ জানাই। স্বল্প সময়ে স্যারের সঠিক সিদ্ধান্তের ফলে আমরা ক্লাস-পরীক্ষায় ফিরতে পেরেছি। আজকে আমি অনলাইন পরীক্ষার একটি রুমে ছিলাম সেখানে প্রায় শতভাগ শিক্ষার্থীই উপস্থিত ছিলেন।
অনলাইন পরীক্ষায় অংশ নেয়া ডেভলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের এক শিক্ষার্থী বলেন, মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে বহুল প্রত্যাশিত পরীক্ষায় অংশ নিতে পেরেছি। এমন উদ্যোগ নেয়ায় উপাচার্য মহোদয়সহ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সকলকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
এর আগে, করোনা সংক্রমণরোধে দিনাজপুর সদর উপজেলা লকডাউন ঘোষণা হওয়ার পর গত ২১ জুন হাবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের সশরীরে উপস্থিত হয়ে চলমান সকল পরীক্ষা স্থগিত করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এরপর গত ৪ জুলাই এক আলোচনা সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনদের এক সপ্তাহের মাঝে অনলাইন পরীক্ষার খসড়া নীতিমালা প্রস্তুত করার তাগিদ দেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. কামরুজ্জামান।
নীতিমালা প্রণয়নে কাজ করেন ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাত হোসেন সরকার। এরপরেই ৭ জুলাই ডিনদের সমন্বয়ে গঠিত অনলাইন পরীক্ষা সংক্রান্ত উপকমিটি একটি খসড়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জমা দেয়। সে আলোকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইন পরীক্ষার নেয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
Discussion about this post