নিজস্ব প্রতিবেদক
শিক্ষার্থীরা কোনও উৎস থেকে মুখস্ত করে লেখার চেয়ে জ্ঞান ও দক্ষতার ভিত্তিতে সৃজনশীল অ্যাসাইনমেন্ট তৈরি করলেই বেশি নম্বর পাবে এবং অ্যাসাইনমেন্ট মূল্যায়নে এমনই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে মন্ত্রণালয় থেকে।
২০২১ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থীদের জন্য এ নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর। শিক্ষকদের বলা হয়েছে, হুবহু পাঠ্যবই থেকে লিখে অ্যাসাইনমেন্ট তৈরি নয়, শিক্ষার্থীর চিন্তা-ভাবনা, কল্পনাশক্তি ও নান্দনিকতাকেই মূল্যায়নের মাপকাঠি হিসেবে বিবেচনা করতে হবে।
এ বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) অধ্যাপক মো. শাহেদুল খবির চৌধুরী বলেন, ‘মুখস্ত করে খাতায় ‘বমি’ করার চেয়ে অর্জিত জ্ঞান দিয়ে নিজের মতো লিখলে তাকে বেশি নম্বর দিতে হবে। জীবনের জন্য জ্ঞানার্জনে এর চেয়ে ভালো উপায় আর হতে পারে না। মুখস্তনির্ভর শিক্ষা কাজে লাগে না।’
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, অ্যাসাইনমেন্টের অতিমূল্যায়ন বা অবমূল্যয়ন করা যাবে না।
শাহেদুল খবির চৌধুরী বলেন, ‘কোনও শিক্ষক যদি মূল্যায়নে অবহেলা করেন সেক্ষেত্রে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
অধিদফতরের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, অ্যাসাইনমেন্ট মূল্যায়নে ‘সবল অংশ’ কালো ও ‘দুর্বল অংশ’ লাল কালি দিয়ে চিহ্নিত করতে হবে। শিক্ষার্থীদের সক্ষমতা চিহ্নিত করতে এমনটা বলা হয়েছে।’
নির্দেশনার আরও বলা হয়েছে, শিক্ষার্থীদের প্রস্তুত করা অ্যাসাইনমেন্ট মূল্যায়নে সামঞ্জস্য আনতে মূল্যায়ন নির্দেশনা বা রুব্রিক্স অনুসরণ করতে হবে। এ অনুযায়ী কোনও বিষয়ের প্রকৃতি, চাহিদা, পরিসর, ধাপ, চিন্তার ব্যাপকতা ও সৃজনশীলতা মূল্যায়ন করতে হবে। মূল্যায়নের প্রতিটি নির্দেশকের জন্য আলাদা নম্বর দিয়ে মোট নম্বর নির্ধারণ করতে হবে।
Discussion about this post