নিজস্ব প্রতিবেদক
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের করোনার টিকা নেওয়ার তালিকা প্রস্তুত না হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় খোলার ব্যাপারে এখনো কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি প্রশাসন। তবে সার্বিক প্রস্তুতি থাকলেও টিকা নিশ্চিত করেই বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীন আখতার।
তিনি বলেন, ‘আমরা চাচ্ছি বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দিতে। কিন্তু স্কুল-কলেজের মতো হঠাৎ করেই তো খুলতে পারবো না। আমাদের হল খুলতে হবে, শিক্ষার্থীদের টিকাগুলো নিশ্চিত করতে হবে। এ পর্যায়গুলো আগে পেরিয়ে আসতে হবে।’
দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আগামী ১২ সেপ্টেম্বর থেকে খোলা যাবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) চাঁদপুরে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় খোলার বিষয়েও কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় খোলার তারিখ নির্ধারণ করেছিলাম অক্টোবরের মাঝামাঝি। তাদের (সিন্ডিকেট ও অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল) সঙ্গে কথা বলবো। অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যদি খুলতে চান খুলবেন, কিংবা যদি ভিন্ন তারিখ নির্ধারণ করেন করবেন, সেটা তাদের বিষয়।’
এ বিষয়ে চবি উপাচার্য বলেন, ‘শিক্ষামন্ত্রী যখন বলেছেন, আমরা চিন্তা করবো। তবে এখনই কিছু জানাতে পারছি না। ডিনদের সঙ্গে বসে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার বিষয়ে বলতে পারবো।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এসএম মনিরুল হাসান বলেন, টিকা দেওয়ার জন্য শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের তালিকা করছি। তালিকা হয়ে গেলে আমরা নিশ্চিত করতে পারবো যে, কত জন টিকা নেয়নি। তখন সরকারের সাথে যোগাযোগ করে তাদের টিকা নিশ্চিত করতে পারবো। তারপর একাডেমিক কাউন্সিল ও ডিন কমিটি বিশ্ববিদ্যালয় খোলার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিবে। এছাড়া আমাদের বাকি সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যেই ইউজিসির (বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন) একটি প্রকল্পের মাধ্যমে হল ও শ্রেণিকক্ষ সংস্কার করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী ৬ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় পর্ষদের সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে ক্যাম্পাস খোলার বিষয়ে আলোচনা হতে পারে। এর আগে গত ২৭ আগস্ট থেকে টিকা গ্রহণের তালিকা শুরু করেছে প্রশাসন। তবে ২৯ আগস্ট পর্যন্ত তালিকা প্রস্তুতির সময় থাকলেও আগামী ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়েছে।
Discussion about this post