নিজস্ব প্রতিবেদক
দীর্ঘ দেড় বছর পরে শিক্ষার্থী বরণের মধ্য দিয়ে রবিবার (১২ সেপ্টেম্বর) দেশের প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শুরু হবে সশরীরে শ্রেণি পাঠদান।অনেক দিন পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পুরাপুরি খুলে দেওয়ার পর শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনার চিত্র আগের যেকোনও সময়ের চেয়ে ভিন্নতর করা হচ্ছে। সবচেয়ে ব্যতিক্রমী আয়োজন প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের ঘিরে।
প্রাথমিকে প্রথম চারদিনের রুটিনে শ্রেণি পাঠদানের উল্লেখ থাকলেও বার্ষিক পাঠ পরিকল্পনা অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের শুধু প্রস্তুতিমূলক ক্লাস নেওয়া হবে। শিক্ষার্থীদের মানসিকভাবে প্রস্তুত করতেই এই আয়োজন করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম বলেন, রুটিনে শ্রেণি পাঠদান রয়েছে। সরাসরি শ্রেণি শিক্ষার্থীদের মানসিকভাবে প্রস্তুত করা প্রয়োজন। সে কারণে প্রথম চারদিন প্রস্তুতিমূলক ক্লাস নেবেন শিক্ষকরা। শিক্ষার্থীদের মানসিকভাবে প্রস্তুত করে তারপর ক্লাস নিতে হবে। ক্লাসের প্রথমেই তাদের কোভিড-১৯ বিষয়ে সচেতন করা হবে।
অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, শ্রেণি পাঠদানের আগেই শিক্ষকরা অভিভাবকদের সঙ্গে শিক্ষার্থী ও তার পরিবারের স্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয় নিয়ে মোবাইল বা ভার্চুয়াল মাধ্যমে আলোচনা করেছেন এবং করবেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের আনা নেওয়ায় জনস্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্যবিধি মানার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বিদ্যালয় প্রবেশের সময় থেকে বাসায় ফেরা পর্যন্ত প্রত্যেক শিক্ষক-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের মুখে মাস্ক থাকবে। এটি বাস্তবায়নে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকরা এবং অন্য সময় অভিভাবকরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন। এছাড়া সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী জনস্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে সবাইকে।
বিরতিহীনভাবে প্রাথমিকের দুই শ্রেণির শিক্ষার্থীদের শ্রেণি কার্যক্রম সর্বোচ্চ তিন ঘণ্টার মধ্যে শেষ করা হবে। তবে দ্বিতীয় শিফট থাকলে বেলা সোয়া ১টায় শুরু করে সর্বোচ্চ তিন ঘণ্টার মধ্যে শেষ করতে হবে।
প্রাথমিকের রুটিন অনুযায়ী সপ্তাহের প্রত্যেক দিন পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে আসবে। পঞ্চম শ্রেণির সঙ্গে শনিবার চতুর্থ শ্রেণি, রবিবার তৃতীয় শ্রেণি, সোমবার দ্বিতীয় শ্রেণি এবং মঙ্গলবার প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে আসবে। ফলে প্রথম চারদিনই নতুন শিক্ষার্থীর আগমন হবে বিদ্যালয়ে। ২০২১ সালের বার্ষিক পাঠ পরিকল্পনা অনুযায়ী এই চারদিন পর্যায়ক্রমে প্রত্যেক শ্রেণির রেজিস্টার তৈরি হবে এবং প্রস্তুতিমূলক ক্লাস নেওয়া হবে। এরপর থেকে নিয়মিত শ্রেণি কার্যক্রম চলবে। তবে প্রত্যেক দিনই প্রথম শ্রেণি কার্যক্রমের শুরুতে প্রথম ১০ মিনিট কোভিড-১৯ বিষয়ে শিক্ষার্থীদের সচেতন করা হবে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শ্রেণি কার্যক্রম শুরুর জন্য স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর মানার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে শিক্ষক, শিক্ষা কর্মকর্তা, কর্মচারী, অভিভাবকসহ সংশ্লিষ্টদের এই নির্দেশ মানতে হবে। এছাড়া প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের বিভিন্ন আগের জারি করা নির্দেশনা, স্বাস্থ্য অধিদফতরের দেওয়া নির্দেশনাসহ প্রয়োজনীয় জনস্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
Discussion about this post