শিক্ষার আলো ডেস্ক
বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে বিদ্যালয়ের চারপাশগুলো। রাস্তায়ও হাঁটু পানি জমে আছে। দীর্ঘ ১৮ মাস পর স্কুলে বসার যে আনন্দ,তা মলিন হয়ে যাবার উপক্রম।একটা বা দুটি নয় প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে বন্যার পানিতে তলিয়ে থাকা গাজীপুরের কালিয়াকৈরের নিম্নাঞ্চলের প্রায় ২০টি স্কুলের কথা।
এদিকে, কালিয়াকৈর ভাউমান মালজুরা হাইস্কুলের মাঠে সাঁকো তৈরিতে ব্যস্ত আব্দুল বাছেদ। কোমর পানিতে বাঁশ গেড়ে শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে আসার ব্যবস্থা করছেন তিনি। তার সঙ্গে অংশ নিয়েছেন ভাউমান ঢালজোড়া হাইস্কুলের আরও দু’জন অভিভাবক।
তুরাগ ও বংশী নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় কালিয়াকৈরের নিম্নাঞ্চল ঢালজোড়া, সূত্রাপুর ও শ্রীফলতলীর বেশ কয়েকটি গ্রামে পানি উঠেছে। এতে সব এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, খেলার মাঠ, মসজিদ, রাস্তাসহ বাড়িঘরে দুর্ভোগে পড়েছেন বাসিন্দারা। বিশেষ করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
এসময় কর্মরত এক সাঁকো শ্রমিক বলেন, আমরা বাঁশ এনে ব্রিজ করছি। যাতে ছেলেমেয়েরা লেখাপড়া করতে পারে। এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে স্থানীয়রা বলছেন, সাঁকো দেওয়ার ফলে ছেলেমেয়েদের স্কুলে আসা যাওয়ার সুবিধা হবে। অনেকে নৌকা কিংবা বাঁশের ভেলা তৈরি করেছে স্কুলে যাওয়ার জন্য।
সরকার নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে সব প্রস্তুতির কথা জানিয়ে প্রতিষ্ঠান প্রধানরা জানান, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার আশপাশের উঁচু কোনো স্থানে ক্লাস নেওয়া হতে পারে।
কালিয়াকৈর ভাউমান মালজুরা হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. হারেজ আলী বলেন, প্রতিবছরই সামান্য পানি হলেই স্কুলের মাঠ তলিয়ে যায়। এ বছরেও পূর্বের মতোই মাঠ পানিতে তলিয়ে গেছে।
বাসুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মালেক হোসেন বলেন, যদি কোনো উঁচু বাড়ি থাকে, এলাকার বা স্কুলের কাছাকাছি ওই বাড়িতে বা উঠানে ক্লাস করার বিষয়ে শিক্ষা কর্মকর্তারা নির্দেশনা দিয়েছেন।
Discussion about this post