নিজস্ব প্রতিবেদক
করোনারি মহামারী সংক্রমণ কমে যাওয়ায় চলতি বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা নিতে প্রস্তুতি শুরু করেছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড।
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির ঘোষণা অনুযায়ী, এসএসসি পরীক্ষা নভেম্বরের মাঝামাঝি ও ডিসেম্বরের শুরুতে এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়া হবে।
এসএসসির প্রস্তুতি জানতে মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান নেহাল আহমেদ জানান, নভেম্বরে পরীক্ষা নিতে প্রস্তুতি চলছে। এজন্য একাধিক মিটিং করছি।
তিনি বলেন, ছুটিসহ সব দিক বিবেচনা করেই রুটিন তৈরি করতে হবে। পরীক্ষার অন্তত ১৫ দিন আগে রুটিন প্রকাশ করতে পারবো। পরীক্ষা হয়তো ১১ তারিখের দিকে শুরু করা যাবে।
গত ১২ আগস্ট শিক্ষামন্ত্রী জানান, এসএসসির ফরম পূরণ আগেই হয়ে গেছে। এইচএসসিরটা আজকে থেকে শুরু হয়েছে। আমরা আশা করছি এসএসসি পরীক্ষা নভেম্বরের মাঝামাঝি ও এইচএসসি পরীক্ষা ডিসেম্বরের গোড়ার দিকে শুরু করতে পারবো। আমাদের সেই প্রস্তুতি আছে।
দীপু মনি বলেন, শিক্ষার্থীদের সংক্ষিপ্ত সিলেবাস দেওয়া হয়েছে, তার ওপরে পরীক্ষা হবে। তারা যেন অ্যাসাইনমেন্ট জমা দেয়, বই পড়ে। তাহলে প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব। বই পড়ে, অ্যাসাইনমেন্ট জমা দিয়ে শিক্ষার্থীরা প্রস্তুতি নিয়ে পরীক্ষা দিতে পারবে ইনশাল্লাহ।
তিনি জানান, অভিজ্ঞতা বলে গত বছর সেপ্টেম্বরের দিকে সংক্রমণ কমে গিয়েছিল। আর এখন তো টিকা দেওয়া হচ্ছে। কাজেই আশা করছি সেই সময়ে আমরা পরীক্ষা নিতে পারবো। আর যদি কোনো কারণে অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি না হয়, আমরা মনে করছি না হবে। তাহলে তখন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।
মহামারির কারণে গত বছর এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে মহামারি শুরুর আগেই এসএসসি পরীক্ষা শেষ হয়।
মহামারির কারণে এ বছর এসএসসি বা সমমান ও এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষা শুধু গ্রুপ ভিত্তিক তিনটি নৈর্বাচনিক বিষয়ে গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড।
২৬ জুলাই বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এস এম আমিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ জনিত অতিমারির কারণে ২০২১ সালের এসএসসি/সমমান ও এইচএসসি/সমমান পরীক্ষা শুধু গ্রুপ ভিত্তিক তিনটি নৈর্বাচনিক বিষয়ে পরীক্ষার সময় ও পরীক্ষার নম্বর হ্রাস করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে। আবশ্যিক বিষয় ও চতুর্থ বিষয়ের কোনো পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে না। বিশেষজ্ঞ কমিটির সুপারিশক্রমে জেএসসি/সমমান ও এসএসসি/সমমান পরীক্ষার নম্বরের ভিত্তিতে সাবজেক্ট ম্যাপিং করে আবশ্যিক বিষয় ও চতুর্থ বিষয়ের নম্বর দেওয়া হবে।
এতে আরও বলা হয়, শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন কার্ড অনুযায়ী চতুর্থ বিষয়ে নম্বর সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে এসএসসি/সমমান ও এইচএসসি/সমমান পরীক্ষার ফলাফলের নম্বর দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে উচ্চ শিক্ষায় ভর্তিতে কোনো রকমের নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না। এ মুহূর্তে শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন কার্ডে চতুর্থ বিষয় পরিবর্তন বা সংশোধনের কোনো সুযোগ নেই।
Discussion about this post