নিজস্ব প্রতিবেদক
দীর্ঘ দেড় বছর বন্ধ থাকার পর মহামারী করোনা পরিস্থিতিতে দেশের উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়েছে। মেডিক্যাল কলেজগুলোতেও সশরীরে শুরু হয়েছে ক্লাস।
এখন বিশ্ববিদ্যালয় খোলার বিষয়টি মূল আলোচনায় এসেছে। তবে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় খোলার সিদ্ধান্ত নেবে একাডেমিক কাউন্সিল এবং সিন্ডিকেট সভা।
এরই মধ্যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) খোলার বিষয়ে সভা আহ্বান করেছে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর। সভায় বিশ্ববিদ্যালয় খোলার তারিখ নির্ধারণ করা হবে। তবে খোলার আগে স্বাস্থ্যবিধিসহ কয়েকটি বিষয় বিবেচনা করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) খোলার বিষয়ে বিভিন্ন বিভাগের সঙ্গে প্রশাসনের বৈঠক সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক সেলিম হোসেন। এছাড়া এ দুই প্রতিষ্ঠান খোলার ব্যাপারে সার্বিক প্রস্তুতি চলছে বলেও জানা গেছে।
রুয়েট রেজিস্ট্রার দপ্তর জানায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনো সশরীরে পরীক্ষা চলছে। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রম পুরোপুরি সচল রয়েছে। দুই হাজারের বেশি শিক্ষার্থী দ্বিতীয় ডোজ ও দেড় হাজারের বেশি শিক্ষার্থী টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন। এছাড়া অন্য সব শিক্ষার্থী রেজিস্ট্রেশন করে টিকার অপেক্ষায় আছেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সব প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে।
রাবির আইসিটি দপ্তরের পরিচালক বাবুল ইসলাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী টিকা নেওয়ার তথ্য জমা দিয়েছেন। যাদের মধ্যে ১১ হাজার শিক্ষার্থী টিকা নিয়েছেন। আট হাজারের বেশি শিক্ষার্থী দুইটি ডোজ ও দুই হাজার ৩০০ শিক্ষার্থী এক ডোজ টিকা নিয়েছেন। এছাড়া জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নেই বলে জানিয়েছেন ৬৪৫ জন শিক্ষার্থী। অর্ধেকের মতো শিক্ষার্থী এখনো টিকা নেওয়ার তথ্য দিতে পারেনি। তবে যারা এখনো তথ্য দেয়নি, তাদের মেসেজ দেওয়া হবে। ধারণা করা যাচ্ছে, প্রায় ৬০ শতাংশ শিক্ষার্থীরা টিকা নিয়েছেন। যারা এখনো নিতে পারেননি, তাদের টিকার আওতায় নিয়ে আসার জন্য কাজ চলছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাবির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, আমাদের প্রথম প্রস্তুতি হচ্ছে আগামী ১৭ অক্টোবরের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে একাডেমিক কার্যক্রম স্বাভাবিক করা। সাধারণভাবে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার আগে আবাসিক হল খোলা হয় সেটি নিয়ে প্রস্তুতি চলছে। দীর্ঘদিন ধরে হল বন্ধ থাকায় সেগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করারও একটা ব্যাপার আছে, অন্যথায় শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যঝুঁকি রয়েছে। তাছাড়া করোনা পরিস্থিতিতে সবার স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়ে ভাবছে সরকার। তাদের ভাবনার সঙ্গে আমাদের ভাবনারও সামঞ্জস্য রাখা দরকার। এসব বিষয় বিবেচনায় রেখে দ্রুত হল খোলার বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার চেষ্টা করছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
রুয়েটের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মো. সেলিম হোসেন বলেন, আমরা অনেক আগে থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় খোলার বিষয়ে প্রস্তুতি নিয়েছি। সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। বিভিন্ন হলের সামনে হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ হল পরিষ্কার ও স্বাস্থ্যসুরক্ষা নিশ্চিতের বিষয়ে কাজ চলছে। সরকারের সিদ্ধান্ত পেলেই প্রতিষ্ঠান খুলতে কোনো দেরি হবে না।
Discussion about this post