শিক্ষার আলো ডেস্ক
দুই শিক্ষার্থী ফাহিমা এবং জিন্নাতুন ফেরদৌস নাইমকে ভর্তি করানোর বিষয়টি বিবেচনা করতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
আজ বুধবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মাহবুব শফিক। শিক্ষার্থীদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী বি এম ইলিয়াস কচি।
পরে আইনজীবী মাহবুব শফিক বলেন, আপিল বিভাগ এ বিষয়ে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বাতিল করে দিয়েছেন। তবে দুই শিক্ষার্থী ফাহিমা এবং জিন্নাতুন ফেরদৌসকে যোগ্যতা থাকা সাপেক্ষে ভর্তির বিষয়ে বিবেচনা করতে চবি কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন। অর্থাৎ যদি তারা কেবল প্রথমবার ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে থাকেন।
উচ্চমাধ্যমিকে মানোন্নয়ন পরীক্ষা দেওয়ায় চবির ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় (এ, বি, সি ইউনিটে) মেধাতালিকায় স্থান পাওয়ার পরও ভর্তি প্রক্রিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে ৮২ জন শিক্ষার্থী তিনটি রিট করেন। এ ছাড়া ডি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া একজন শিক্ষার্থী একটি রিট করেন।
ওইসব রিটের শুনানি নিয়ে গত বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ চবি ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের তিন ইউনিটে মেধাতালিকায় স্থান পাওয়া ৮২ শিক্ষার্থীর ভর্তিপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করার নির্দেশ দেন।
এ ছাড়া ডি ইউনিটে মানোন্নয়ন দেওয়া পরীক্ষার্থীদের ফলাফল প্রকাশ না করায় রিট আবেদনকারীর ফলাফল প্রকাশ ও সেই অনুযায়ী ভর্তির বিষয়টি বিবেচনা করতে বলা হয়।
পরে ওই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু আবেদনগুলো দীর্ঘদিন শুনানিতে না আসায় শিক্ষার্থীরা রোববার ভার্চুয়ালি বিষয়টি আপিল বিভাগের নজরে এনে বলেন, তারা কোথাও ভর্তি হননি। চবিও তাদের ভর্তি করেনি। তাদের শিক্ষাজীবন আটকে আছে।
এরপর আদালত শুনানির জন্য দিন ঠিক করেন। আজ শুনানিতে বি এম ইলিয়াস কচি বলেন, ৮২ জনের অনেকে অন্য জায়গায় ভর্তি হয়ে গেছেন। এখন বাকি আছেন ৫৭ জন।
Discussion about this post