শিক্ষার আলো ডেস্ক
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার পৃথক তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মোট ১৩ জন শিক্ষার্থী করোনায় আক্রান্ত হয়ে বর্তমানে আইসোলেশনে আছে। তারা সবাই ঠাকুরগাঁও সরকারি বালিকা পরিবারের এতিম শিশু। বালিকা শিশু পরিবারে বর্তমানে মোট ৬৫ জন এতিম শিশু আছে। তাদের সরকারি খরচে লালন পালন করা হয় বলে জানা যায়।
করোনায় আক্রান্ত ১৩ জন শিক্ষার্থীদের মধ্যে বাহাদুরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৫ জন, সোনালি শৈশব বিদ্যানিকেতনে ৩ জন এবং হাজিপাড়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে ৫ জন ছাত্রী পড়ালেখা করে। বৃহস্পতিবার থেকে বাহাদুরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৪র্থ ও পঞ্চম শ্রেণির পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করেছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। তবে অন্য দুটি প্রতিষ্ঠানের ক্লাস বন্ধ করা হয়নি।
বাহাদুরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা জানান, আমাদের বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ২ জন ও পঞ্চম শ্রেণির ৩ জন ছাত্রী করোনায় আক্রান্ত হয়। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার পরামর্শ মতে বিদ্যালয়ের ৪র্থ ও পঞ্চম শ্রেণির পাঠদান বন্ধ রাখা হয়েছে।
ঠাকুরগাঁও শিশু পরিবারের উপ-তত্ত্বাবধায়ক বলেন, ১৬ সেপ্টেম্বর দু’একজন শিশু জ্বরে আক্রান্ত হয়। এরপর আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকলে ২০ ও ২১ সেপ্টেম্বর ২৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। ২৩ সেপ্টেম্বর ১৩ জনের করোনা পজেটিভ আসে। তারা সবাই শিশু পরিবারে আইসোলেশনে আছে। কারো কোনো জটিলতা নেই। ১৬ সেপ্টেম্বরের পর থেকে কাউকে স্কুলে পাঠানো হয়নি।
এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও সিভিল সার্জন ডাক্তার মাহফুজার রহমান সরকার জানান, করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে।আক্রান্তরা সকলে ভালো আছে। এই ১৩ জন শিক্ষার্থীকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে বাকি শিক্ষার্থীদের নমুনা নিয়ে করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। ভয় না পেয়ে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেন তিনি।
অপরদিকে জেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের ছয় জন শিক্ষকও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে জেলা শিক্ষা অফিস।
Discussion about this post