নিজস্ব প্রতিবেদক
শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের সামনে পতাকা উত্তোলন, বেলুন উড্ডয়ন এবং কেক কাটার মধ্য দিয়ে উদযাপিত হলো ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের ৭৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী।‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আমার অহংকার ; এখনই সময় দায় মোচনের’ স্লোগানকে সামনে রেখে এই অনুষ্ঠান উদযাপন করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।
ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন ১৯৪৯ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর ‘বিশ্ববিদ্যালয় ওল্ড বয়েজ অ্যাসোসিয়েশন’ নামে প্রথম যাত্রা শুরু করে। পরবর্তীতে ১৯৬০ সালে এর নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়, ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন বিচারপতি মো. ইব্রাহিম আর মহাসচিব ছিলেন মিজানুর রহমান।
সংগঠনটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান উন্নয়ন এবং বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থীকে নিয়মিত বৃত্তি প্রদানসহ বিভিন্ন সেবায় নিয়োজিত রয়েছে। দেশ-বিদেশে অবস্থানরত প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সংগৃহীত অনুদানের মাধ্যমে প্রতিবছর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৬টি বিভাগ ও ১৬টি ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের জন্য প্রায় ৭০০টি বৃত্তি দেয় সংগঠনটি। এছাড়া অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে বই ও স্মারক প্রকাশ, সেমিনারসহ নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ. কে. আজাদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম মহাসচিব আশরাফুল হক মুকুলের সঞ্চালনায় এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এস এম মাকসুদ কামাল, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভুইয়াঁ প্রমুখ। এছাড়া ৭৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ভিডিও বার্তার মাধ্যমে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠান।
এ সময় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, বিশ্ব র্যাংকিংয়ে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের যে অবস্থান, সেটির পেছনে শক্তিশালী কিছু উপাদান হলো, অ্যালামনাই নেটওয়ার্কিং এবং ইন্ডাস্ট্রি একাডেমি অ্যালায়েন্স। এই বিষয়গুলোও বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাংকিংয়ে ভূমিকা রাখে। বিশ্বের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ তাদের অ্যালামনাই নেটওয়ার্কিং এবং ইন্ডাস্ট্রি অ্যালায়েন্সের মাধ্যমে সকল মহৎ কিছু অর্জন করে থাকে। সেটি এদেশে এখনো প্রবেশ করতে সক্ষম হয়নি। এই ধরনের উদ্যোগ গ্রহণে ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন সক্ষম হবে বলে আমি আশা করি।
তিনি আরও বলেন, এখন আমাদের পরিকল্পনায় দুটি বিষয় গুরুত্ব পাওয়ার দাবি রাখে। একটি হলো প্যান্ডামিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে আমাদের কর্ম পরিকল্পনা করতে হবে। কেননা এটি শুধুমাত্র একটি মহামারি, এমন মহামারি পৃথিবীতে আরও আসতে পারে, সেটা মোকাবিলার জন্য আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে।
অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ. কে. আজাদ বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে শোষণহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেছিলেন, অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা ও শিক্ষা এবং শিক্ষা শেষে কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবে সবাই। সে স্বপ্ন তিনি বাস্তবায়ন করে যেতে পারেননি। তার সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতার সেই স্বপ্নগুলো একে একে পূরণ করে যাচ্ছেন। ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের ৭৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর প্রাক্কালে আমার প্রত্যাশা, জাতির পিতার স্বপ্নগুলো পূরণের জন্য ঢাবি অ্যালামনাইদের যে যেখানে আছেন, সেখান থেকেই কাজ করে যাবেন।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়।
Discussion about this post