নিজস্ব প্রতিবেদক
২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ৩৬০ কোটি ৭৯ লাখ টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। প্রস্তাবিত বাজেটে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন ও ভাতা খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২৩০ কোটি কোটি ৮৫ লাখ টাকা, যা মোট বাজেটের ৬৪ শতাংশ।
এছাড়া পেনশনের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৫৫ কোটি ৩ লাখ। সর্বমোট ২৮৫ কোটি ৮৮ লাখ টাকা যাবে বেতন ভাতা ও পেনশন খাতে। যা মোট বাজেটের ৭৯ দশমিক ২৪ শতাংশ।
শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. এ আর মল্লিক প্রশাসনিক ভবনের সম্মেলন কক্ষে ৩৩তম সিনেট সভায় এ বাজেট পেশ করেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এস এম মনিরুল হাসান।
এর আগে ২০২০-২১ অর্থবছরে চবির বাজেট ছিলো ৩৫১ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। যেখানে বেতন-ভাতা বাবদ বরাদ্দের পরিমাণ ছিলো ২২২ কোটি ২০ লাখ টাকা, যা মোট বাজেটের ৬৪ দশমিক ১৬ শতাংশ।
২০২১-২২ অর্থবছরে মোট বাজেটের বিপরীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাপ্তি ৩৫১ কোটি ৮১ লাখ টাকা। ঘাটতি বাজেট রয়েছে ৮ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। একইসঙ্গে গত অর্থবছরের সংশোধিত বাজেট ৩৪৭ কোটি ৪৯ লাখ টাকা সিনেট সভায় অনুমোদন করা হয়।
এদিকে অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে এবছর গবেষণা খাতে চবির বরাদ্দ ৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা। এ খাতে গত বছরের তুলনায় ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা বেশি বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এছাড়া চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ২৭ হাজার ৪৮৩ জনের বিপরীতে ২০২১-২২ অর্থবছরে শিক্ষার্থীপ্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক ব্যয় ধরা হয়েছে ১ লাখ ৩০ হাজার ৪৪৬ টাকা।
সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার বলেন, আগামী অর্থবছরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক ও ভৌত অবকাঠামো উন্নয়নের দিকে গুরুত্বারোপ করে সকল পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে। তাছাড়া এবারের বাজেটে গবেষণা খাতে আগের চেয়ে বেশি বরাদ্দ রাখা হয়েছে। আন্তর্জাতিক র্যাং কিংয়ে চবির অবস্থানকে সম্মানজনক জায়গায় নিয়ে যাওয়া ও গবেষণার মান বাড়ানোর জন্য ব্যাপক পরিকল্পনা আছে আমাদের।
সিনেট সভায় উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য ওয়াসিকা আয়েশা খান ও নজরুল ইসলাম চৌধুরী। এছাড়া বিশ্বিবদ্যালয়ের সিনেট সদস্য ও সিন্ডিকেট সদস্য, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।
Discussion about this post