শিক্ষার আলো ডেস্ক
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামান বিশ্ববিদ্যালয় খোলার বিষয়ে জানান, শিক্ষার্থীরা যত দ্রুত টিকা দেওয়ার তথ্য কর্তৃপক্ষের কাছে দেবে তত দ্রুতই বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়া হবে।
গত ১২ সেপ্টেম্বর স্কুল-কলেজ খুলে যাওয়ার মধ্য দিয়ে আবারও মুখরিত হয়েছে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। সে ধারাবাহিকতায় বিশ্ববিদ্যালয়ও খুলে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে জবি কর্তৃপক্ষ। তবে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার আগে শিক্ষার্থীদের করোনা টিকা নিশ্চিত করতে হবে। এর কারণে শিক্ষার্থীদের কাছে টিকা দেওয়ার তথ্যও চেয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
কিন্তু শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে তথ্য দেওয়ার ব্যাপারে তেমন কোন সাড়া মিলেনি। তথ্য না দেওয়ার ব্যাপারে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ হলো যেই পদ্ধতিতে বিশ্ববিদ্যালয় তথ্য চেয়েছে সেভাবে তথ্য দেওয়া খুবই সময় সাপেক্ষ। কেউ কেউ আবার চেষ্টা করেও যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে তথ্য দিতে পারেনি। অনেকে আবার তথ্য চাওয়ার পর টিকা দিয়েছে তাই তথ্য দিতে পারেনি।
এর আগে গত ২৯ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সিদ্ধান্ত মোতাবেক স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতপূর্বক বিশ্ববিদ্যালয় খোলার জন্য প্রত্যেক অনুষদ, বিভাগ, ইনস্টিটিউট, দপ্তরে কর্মরত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীদের টিকা গ্রহণ সংক্রান্ত তথ্যাবলীর (কত জন প্রথম ডোজ টিকা গ্রহণ করেছেন,কত জন ২য় ডোজ টিকা গ্রহণ করেছেন, কত জন রেজিস্ট্রেশন করেছেন কিন্তু টিকা গ্রহণ করেননি, কতজনের এনআইডি আছে কিন্তু টিকার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেননি, কতজনের এনআইডি নেই) সফট ও হার্ড কপি ২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে জমা দিতে বলা হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের এক শিক্ষার্থী বলেন, আমি ১৮ সেপ্টেম্বর ১ম ডোজ নিয়েছি। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক আগেই টিকার তথ্য দেওয়ার জন্য নোটিশ দিয়েছিল। সময়ও অনেক আগেই শেষ হয়েছে। তাই আমি আমার টিকার আপডেট তথ্য দিতে পারিনি। ১৭ অক্টোবর আমার ২য় ডোজ নেওয়ার তারিখ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামান বলেন, শিক্ষার্থীরা আমাদের যত দ্রুত টিকা দেওয়ার তথ্য দেবে আমরা তত দ্রুতই বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দিতে পারবো।
তিনি বলেন, যেসব শিক্ষার্থী টিকা নিয়েছে ইউজিসি, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে আমাদের কাছে তাদের তালিকা চেয়েছে কিন্তু শিক্ষার্থীরা তথ্য দিচ্ছে না। এর কারণে আমরা কোন তথ্য দিতে পারছি না। এর কারণে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত নিতে পারছি না।
তিনি আরো বলেন, ইতোমধ্যে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে করোনা টিকার বুথ দেওয়ার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছি। এবং ব্যক্তিগতভাবেও যোগাযোগ করা হচ্ছে।
Discussion about this post