শিক্ষার আলো ডেস্ক
বিশ্ববিদ্যালয় র্যাগিংয়ের ঘটনায় জড়িত থাকার অপরাধে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) চার শিক্ষার্থীকে এক সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কার করেছেন হাইকোর্ট। তারা হলেন— মির্জা মোহাম্মদ গালিব, সব্যসাচী দাস দিব্য, সৌমিত্র লাহিড়ী এবং মো. মোবাস্বির।
এ বিষয়ে জারি করা একাধিক রুল নিষ্পত্তি করে বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
রায় প্রকাশের পর অভিযুক্তরা এক সেমিস্টার পরীক্ষা দিতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে র্যাগিংয়ের ঘটনায় জড়িত বাকি ৩১ জন শিক্ষার্থী বুয়েটের হলে থাকতে পারবেন না বলেও রায় দিয়েছেন আদালত। তবে তারা হলের বাইরে থেকে নিজ দায়িত্বে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারবেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার অনিক আর হক ও অ্যাডভোকেট সৈয়দা নাসরিন। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
এর আগে র্যাগিংয়ের ঘটনায় জড়িত থাকার দায়ে বুয়েটের বেশকিছু শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম থেকে বহিষ্কার ও আবাসিক হল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব রেসিডেন্স অ্যান্ড ডিসিপ্লিন কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ওই শাস্তি দেওয়া হয়। শাস্তি পাওয়া শিক্ষার্থীরা শাস্তির কপি হাতে পাওয়ার পর এর বিরুদ্ধে অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলে আপিল করেন। কিন্তু তা খারিজ হয়। পরে ওই সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ৩৫ শিক্ষার্থী হাইকোর্টে পৃথক পৃথক রিট দায়ের করেন।
সেই সব রিটের শুনানি নিয়ে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে বুয়েটে র্যাগিংয়ের ঘটনায় শিক্ষার্থীদের শাস্তি আরোপের অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত। পরে এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে যায় বুয়েট কর্তৃপক্ষ।
আপিল বিভাগ হাইকোর্টকে এ সংক্রান্ত রুল ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন। আপিল বিভাগের নির্দেশনার আলোকে মামলাগুলোর রুল নিষ্পত্তি করে রায় ঘোষণা করলেন হাইকোর্ট।
Discussion about this post