শিক্ষার আলো ডেস্ক
ইবতেদায়ি মাদরাসা জাতীয়করণের দাবি জানিয়ে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা শিক্ষক সমিতি।
আজ রোববার (৩ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড থেকে রেজিস্ট্রেশন পাওয়া স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা জাতীয়করণসহ আরও কয়েকটি দাবিতে এই মানববন্ধন করেন সমিতির সদস্যরা।
বাংলাদেশ স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা শিক্ষক সমিতির দাবিগুলো নিম্নে দেয়া হলো—
১. প্রাথমিকের মতো স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা মুজিববর্ষে মহাসমাবেশের মাধ্যমে জাতীয়করণের ঘোষণা করা;
২. কোডবিহীন মাদরাসাগুলো বোর্ড কর্তৃক কোড নম্বরে অন্তর্ভুক্তকরণ;
৩. স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা নীতিমালা-২০১৮ সংশোধন করে শিক্ষা ১ (এক) জনের পরিবর্তে এইচএসসি পাশ/সমমান ১ (এক) জন অন্তর্ভুক্ত করা;
৪. প্রাথমিকের মতো স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসায় অফিস সহায়ক নিয়োগ দেওয়া;
৫. প্রাথমিকের মতো স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসার শিক্ষকদের পিটিআই ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করা;
৬. প্রাথমিকের মতো স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসায় আসবাবপত্রসহ ভবন নির্মাণ করা; এবং
৭. প্রাথমিকের মতো স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসার স্থায়ী রেজিস্ট্রেশনের ব্যবস্থা করা।
এসব দাবি আদায়ে মানবন্ধনে সমিতির মহাসচিব কাজী মোখলেচুর রহমান লিখিত বক্তব্যে বলেন, ১৯৯৪ সাল থেকে প্রাথমিকের মতো স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসার শিক্ষকদেরও ৫০০ টাকা ভাতা দেওয়া হয়। কিন্তু প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন ধাপে ধাপে বাড়ানোর পরও ২০১৩ সালে বর্তমান সরকার ২৬ হাজার ১৯৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করে। কিন্তু মাত্র ১ হাজার ৫১৯টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা এখনো জাতীয়করণ হয়নি। মাদরাসার শিক্ষকদের বেতনের অবস্থা এই দ্রব্যমূল্যের বাজারে অমানবিক।
তিনি আরও বলেন, মাদরাসা শিক্ষাকে যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে ইবতেদায়ি মাদরাসাগুলোকে ১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড রেজিস্ট্রেশন দেয়। বাংলাদেশ ও বিশ্বে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এনসিটিবি প্রকাশিত শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক অনুযায়ী কোরআন সুন্নাহ ও আরবি ভাষা শিক্ষাদানের পাশাপাশি প্রাথমিক শিক্ষার মতো বাংলা, ইংরেজি, বিজ্ঞান পাঠদান করে আসছে ইবতেদায়ি মাদরাসা।
Discussion about this post