নিজস্ব প্রতিবেদক
দীর্ঘ ১৮ মাস পর শিক্ষার্থীদের জন্য আজ খুলছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) দ্বার। বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) সশরীরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা শুরুর মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠল রাজধানীর পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী এই বিদ্যাপীঠ।
এর মধ্য দিয়ে করোনা মহামারীর নানা প্রতিকূল পরিস্থিতি কাটিয়ে দেশের অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়েও স্বাভাবিক হতে চলেছে সব ধরনের শিক্ষা-কার্যক্রম। তবে দীর্ঘ বিরতির পর সংকট কাটিয়ে উঠতে নতুন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের।
সরকারী এ অনাবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসন সমস্যা প্রকট। তাই দীর্ঘ দিন পর পরীক্ষা দিতে এসে মেস খুঁজতে গিয়ে সংকটে পড়ছে শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের এক শিক্ষার্থী বলেন, করোনার কারণে দীর্ঘদিন ক্যাস্পাস বন্ধ থাকায় প্রায় দেড় বছর যাবত বাড়িতে ছিলাম। এর মধ্যেই হঠাৎ ক্যাম্পাস খুলে সশরীরে পরীক্ষার ঘোষণা দেয় প্রসাশন। হল না থাকায় তড়িঘড়ি ঢাকায় এসে গত দুই সপ্তাহ ধরে মেস খুঁজছি কিন্তু কিছুতেই মিলাতে পারছি না।
তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্তে আনন্দিত জানিয়ে সাকিব বলেন, আমাদের সেশনজট থেকে বাঁচতে এর বিকল্প নেই।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র ছাত্রী হল বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে সিটের জন্য অনলাইন আবেদন শুরু হয়েছে। তবে ছাত্রীদের কবে নাগাদ হলে উঠানো হবে তা নিয়ে এখনও রয়েছে সংশয়।
ছাত্রীদের হলের সার্বিক বিষয় নিয়ে জানতে চাইলে বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রাধ্যক্ষ শামীমা বেগম বলেন, হলের কাজ প্রায় শেষের দিকে। ১৫ তারিখ পর্যন্ত আমাদের অনলাইনে আবেদন চলবে। এরপর আমাদের ভিসি স্যার বিদেশ থেকে আসলে কিছু ফরমালিটি আছে, সেগুলো শেষ করবো। তারপর নিয়ম অনুযায়ী যারা সিলেক্ট হবে তাদের কাগজপত্র আমরা সশরীরে জমা নেব।
বিশ্ববিদ্যালয়ের খোলার বিষয়ে কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. চঞ্চল কুমার বোস বলেন, করোনার ভিতরে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষা নিচ্ছে, এটা অনেক বড় ব্যাপার। কাল থেকে আমাদের পরীক্ষা শুরু মানে বিশ্ববিদ্যালয় খোলা। আর সেশনজট নিয়ে আমাদের আপাতত পরিকল্পনা নেই।
Discussion about this post