শিক্ষার আলো ডেস্ক
আবেদনকৃত ও দলিলকৃত সব ধরনের বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি (মহাজোট)।
রোববার (১০ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সালে এক ঘোষণায় প্রথমে ৩২ হাজার এবং পরবর্তীতে বাদ পড়া আরও চার হাজার ৩২৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কর্মরত শিক্ষকদের জাতীয়করণের ঘোষণা দিয়ে দেশকে প্রাথমিক শিক্ষার অভিশাপ থেকে মুক্ত করেন। দীর্ঘ ৪০ বছর অতিবাহিত হওয়ার পর তার উত্তরসূরি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৩ সালে এক ঘোষণায় ২৬ হাজার ১৯৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জাতীয়করণের ঘোষণা দিয়ে জাতির পিতার মতো আরও একটি ইতিহাস রচনা করেন।কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় জাতীয়করণের জন্য যে পরিসংখ্যান করা হয়েছিল তা সঠিক না হওয়ায় অনেক জাতীয়করণযোগ্য বিদ্যালয় বাদ পড়ে।
বক্তারা আরও বলেন, ইতোপূর্বে আমরা জাতীয়করণের জন্য ২০১৮ সালে ১৮ দিন ও ২০১৯ সালে ৫৬ দিন ও ২০২১ সালে ৭ দিন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান ও অনশন কর্মসূচি পালন করেছি। তখন তৎকালীন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আকরাম আল হোসাইনের নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দল এসে আমাদের জাতীয়করণের আশ্বাস নিলেও তা বাস্তবায়ন করেননি।
বক্তারা হুঁশিয়ার করে বলেন, আগামী ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে আমাদের বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো জাতীয়করণ ও কর্মরত শিক্ষকদের সরকারিকরণের সুস্পষ্ট ঘোষণা না দিলে আমরা আগামী জানুয়ারিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আবার অবস্থান কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন- সমিতির উপদেষ্টা মো. কামাল উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ নূর মোহাম্মদ পাটওয়ারী, যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ মতিয়ার রহমান, মো. সাহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
Discussion about this post