নিজস্ব প্রতিবেদক
দীর্ঘ ১৮ মাস এর অধিক সময় পর করোনা সংক্রমণজনিত কারণে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকার পর অবশেষে আগামী ১৭ অক্টোবর থেকে খুলছে আবাসিক হলসমূহ। সেইসাথে ২১ অক্টোবর বৃহস্পতিবার থেকে ক্লাস শুরু হওয়ারও কথা রয়েছে।
তবে শিক্ষার্থীদের হলে অবস্থান এবং ক্লাসে উপস্থিত হওয়া সংক্রান্ত বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আজ সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক প্রফেসর ড. মো. আজিজুর রহমান সাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সকল শিক্ষার্থীর জন্য কমপক্ষে এক ডোজ কোভিড-১৯ টিকা গ্রহণ বাধ্যতামূলক। অন্তত এক ডোজ টিকা গ্রহণ না করলে হলে অবস্থান বা শ্রেণিকক্ষে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হবে না। যারা এখনো রেজিস্ট্রেশন করেনি তাদের হলে ওঠার বা ক্লাস শুরুর আগে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে হবে এবং কোভিড-১৯ টিকার অন্তত প্রথম ডোজ গ্রহণ করতে হবে। প্রয়োজনে আইসিটি সেন্টার রেজিস্ট্রেশন করতে সহায়তা করবে।
টিকা গ্রহণ সনদের দুই কপি সঙ্গে নিয়ে আসতে হবে। আবাসিক শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে এক কপি হলে ও অনাবাসিক শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে বিভাগে এবং অন্য কপি অবশ্যই আইসিটি সেন্টারে জমা দিতে হবে।যে সকল শিক্ষার্থী এখনো টিকা গ্রহণ করেনি কিন্তু সুরক্ষা অ্যাপে বা ইউজিসির ইউনিভ্যাক-এর মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করেছে তাদের রেজিস্ট্রেশনের দুই কপি সঙ্গে নিয়ে আসতে হবে। আবাসিক শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে এক কপি হলে ও অনাবাসিক শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে বিভাগে এবং অন্য কপি আইসিটি সেন্টারে অবশ্যই জমা দিতে হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, আগামী ১৭ থেকে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত শহীদ সুখরঞ্জন সমাদ্দার ছাত্র-শিক্ষক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে (টিএসসিসি) কোভিড-১৯ টিকার প্রথম/দ্বিতীয় ডোজ প্রদান করা হবে। প্রথম ডোজের ক্ষেত্রে রেজিস্ট্রেশনের কপি এবং দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণের জন্য অবশ্যই প্রথম ডোজের প্রমাণপত্র সঙ্গে নিয়ে আসতে হবে।
স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে বলা হয়, ক্যাম্পাসে, হলে বা ক্লাসে অবস্থানকালীন সময়ে সকলকে নাক-মুখ ঢেকে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে এবং সরকার নির্দেশিত অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। হলে বা ক্লাস কক্ষে প্রবেশের আগে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে বা স্যানিটাইজার দিয়ে হাত জীবানুমুক্ত করতে হবে। এছাড়া হল/বিভাগে প্রবেশের সময় শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করা হবে। যেকোনো শিক্ষার্থীর কোভিড-১৯ এর লক্ষণ দেখা দিলে অতি দ্রুত হল/বিভাগ কর্তৃপক্ষকে অথবা বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রকে অবহিত করতে হবে।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নমুনা সংগ্রহ এবং অ্যান্টিজেন অথবা আরটিপিসিআর টেস্টের ব্যবস্থা করবে। হলে অবস্থানকালে কোনো শিক্ষার্থীর কোভিড-১৯ এর লক্ষণ দেখা দিলে তাকে হলে অথবা বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রে আইসোলেশন কক্ষে পৃথক রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে সকলকে আবশ্যিকভাবে মশারি টানিয়ে ঘুমাতে হবে। ক্যাম্পাসে কোভিড-১৯ ও ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টির কার্যক্রম চলমান থাকবে।
Discussion about this post